ঝিকরগাছা উপজেলা মোড় থেকে নাভারণ পুরাতন বাজার পর্যন্ত অন্তত ২৫টি বড়ো শিশুগাছ মরে শুকিয়ে গেছে। তার মধ্যে ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারণ কলোনী পাড়া, নাভারণ পুরাতন বাজার মোড়, নবীবনগর মোড়, কলাগাছি, গদখালী ফুল বাজার, বেনেয়ালী, বালিখোলা, হাজিরআলী মহিলা কলেজ মোড়, পৌর সদরের বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ ও এস কে সুপার মার্কেটের প্রথম গলির সামনে মরা ও ঝুঁকিপূর্ণ গাছের নিচ দিয়ে মানুষের চলাচল করতে হচ্ছে।
ক্রস বর্ডার রোড নেটওর্য়াক ইমপ্রুভমেন্ট এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মো: আশরাফুজ্জামান স্বাক্ষরিত গত ২০ সেপ্টেম্বর গাছ আপসারণের আদেশ দেন। কিন্তু গাছের মালিকানা নিয়ে যশোর জেলা পরিষদ ও রোডস এন্ড হাইওয়ের মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় গাছগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের দুই পাশে মরা ও ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো অপসারণের দাবিতে ঝিকরগাছায় মানববন্ধন করে মহাসড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাসস্ট্যান্ড চত্বরে মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করে ঝিকরগাছা ব্রিজ বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক মাস্টার আশরাফুজ জামান বাবু।
এসময় বক্তব্য রাখেন যুগ্ন আহবায়ক সাজ্জাদ নুরুল হক বিন্তু, উপদেষ্টা আমানুল কাদির টুল্লু, সুলতান আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলি, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, সদস্য শাকিল আহমেদ মিলন, এস কে মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, আবু সাঈদ মিলন, ফারুক আহমেদসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং সাধারণ জনগণ।
বক্তারা বলেন, যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। যানবাহন ও পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যশোর থেকে বেনাপোল পর্যন্ত এই ৪০ কি:মি মহাসড়কের বিশেষ করে ঝিকরগাছা সীমানার সড়কের অবস্থা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। অতিদ্রুত গাছগুলো অপসারণ না করা হলে আগামীতে যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক অবরোধ করে সম্পূর্ন বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই