ফিলিপস ও স্যান্টনারের সপ্তম উইকেট জুটিতে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এর আগে সিরিজ জয়ের আশা জাগিয়েই চতুর্থ দিনের চা-বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে চা-বিরতি থেকে ফিরে সেই চাপ জিইয়ে রাখতে পারেননি টাইগার বোলাররা। সপ্তম উইকেটে গ্লেন ফিলিপস ও মিচেল স্যান্টনারের অনবদ্য জুটিতে ৪ উইকেটের জয়ের ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ করেছে ব্ল্যাক-ক্যাপসরা।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনে রান তাড়ায় নেমে বাংলাদেশি বোলারদের তোপে ডেভন কনওয়ের পর দলীয় ২৪ রানে কেন উইলিয়ামসনের উইকেটও হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় উইকেটে টম ল্যাথামের সঙ্গে ১৯ রানের জুটি গড়ে তাইজুল ইসলামের শিকার হন উইলিয়ামসন। চলতি সিরিজে চার ইনিংসে তৃতীয়বার কেন উইলিয়ামসনকে আউট করলেন তাইজুল। তার টার্ন ও বাউন্সে পরাস্ত হয়ে স্টাম্পড হয়ে ফেরেন কিউইদের সেরা ব্যাটার। ২৪ বলে ১১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
হেনরি নিকোলস ও টম ল্যাথাম দুজনকেই আউট করেন মিরাজ। নিউজিল্যান্ডের পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আউট হন টম ব্লান্ডেল। তাইজুল ইসলামের বলে নুরুল হাসান সোহানকে ক্যাচ দিয়েছেন কিউই তারকা। ৬ বলে মাত্র ২ রান করেন তিনি। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ড্যারেল মিচেল। ১৯ রানে তাকেও সাজঘরে পাঠান মিরাজ।
এরপর গ্লেন ফিলিপস ও মিচেল স্যান্টনারের ব্যাটে জয়ের দিকে এগুতে থাকে নিউজিল্যান্ড। সফলও হন তারা। অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন দুই কিউই। ফিলিপসের ৪৮ বলের ইনিংসে আছে ৪টি চার ও একটি ছয়ের মার। স্যান্টনার অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে।
এর আগে ২ উইকেটে ৩৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। জাকির হাসান ১৬ ও মুমিনুল হক শূন্য রানে ক্রিজে নেমেছিলেন। জাকির আক্রমণ শুরু করেন দ্বিতীয় ওভার থেকেই। মুমিনুল তখন হাত খুলতে শুরু করেন কেবল। কিন্তু ১০ রান করার পর অ্যাজাজ প্যাটেলের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। মুশফিকুর রহিমও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৯ রানে মিচেল স্যান্টনারের বলে ড্যারেল মিচেলকে ক্যাচ দেন তিনি। শাহাদাত হোসেন দিপু আগের ইনিংসে একমাত্র ব্যাটার হিসেবে একশর বেশি বল খেললেও এদিন স্থায়ী হন মাত্র ১১ বল।
মিরপুরের কঠিন উইকেটে ধৈর্য্যের স্বাক্ষর রাখতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ ও নুরুল হাসান সোহান। মিরাজ ৩ রান করলেও সোহান আউট হন শূন্য রানে। দুজনকেই শিকারে পরিণত করেন প্যাটেল। নাঈম হাসান ১৯ বলে ৯ রান করে জাকিরকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দেন। টাইগারদের আশার বাতি হয়ে টিকে ছিলেন জাকির। কিন্তু তিনিও আউট হন ভুল শট খেলে। ৮৬ বলে ৫৯ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে আছে ৬টি চার ও একটি ছয়ের মার। শেষদিকে তাইজুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম দুজনই পিটিয়ে খেলার চেষ্টা করেন। তাতে ২১ বলে তাইজুল ১৪ ও ৬ বলে শরিফুল করেন ৮ রান। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ১৪৪ রানে। একাই ৬ উইকেট তুলে নেন কিউই স্পিনার অ্যাজাজ প্যাটেল।
প্রথম ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট হয়েছিল টাইগার বাহিনী। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেছিলন অদ্ভুতভাবে আউট হওয়া মুশি। জবাবে ৮ রানের লিড নিয়ে গুটিয়ে যায় সফরকারী দল। গ্লেন ফিলিপসের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৮৭ রান।
খুলনা গেজেট/এমএম