টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পরও অনেকেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন, গত সফরের ধারা বজায় রেখে টি-টোয়েন্টিতে অন্তত ভালো করবে বাংলাদেশ। কিন্তু টাইগাররা এই সিরিজেও কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় হয়ত সৌভাগ্যবশত হোয়াইটওয়াশের তকমা গায়ে লাগাতে হয়নি। তবে বাংলাদেশের প্রতিরোধহীন ক্রিকেট প্রত্যাশার কানাকড়িও পূরণ করতে পারেনি। এবারের ক্যারিবীয় সফরে এখনও জয়হীন বাংলাদেশ।
তবু দুঃস্মৃতির এই সিরিজে কিছু ইতিবাচক দিক দেখছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আর তা ব্যাটিং ইউনিট নিয়ে। ক্যারিবীয়রা যে উইকেটে রানপ্রসবা ছিলেন, বাংলাদেশ সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ার মত স্কোরও গড়তে পারেনি। তবুও অধিনায়ক ব্যাটিং ইউনিট নিয়ে খুশি।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি কিছু ইতিবাচক দিক আছে। ব্যাটিং ইউনিট পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছে। প্রথম কয়েক ওভারকে লক্ষ্য করেছিলাম। বোলিংয়ে উইকেট শিকারের উপায় খুঁজে বের করতে হবে, সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে।’
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ১৬৩ রানের পুঁজি নিয়ে বল হাতে ক্যারিবীয়দের চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। এরপর নিকোলাস পুরান ও কাইল মেয়ার্সের পার্টনারশিপ বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। শেষপর্যন্ত আবারও বরণ করতে হয় অসহায় পরাজয়।
রিয়াদের ভাষায়, ‘আজ ভালো একটা সুযোগ ছিল। পুরানের রান আউট হাতছাড়া করাটা ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। মেয়ার্স ও পুরান দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। আমাদের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছে। বোলাররা শুরুতে ভালো করেছে। এরপর আর ২-১ উইকেট তুলে নিতে পারলে ভালো হত। মেয়ার্স ও পুরানের পার্টনারশিপই আমাদের দূরে ঠেলে দিয়েছে।’
যদিও রিয়াদ ১৬৩ রানের পুঁজি নিয়ে সন্তুষ্টই ছিলেন। দুই ক্যারিবীয় যখন চড়াও হয়েছেন বাংলাদেশের ওপর, তখনও জয়ের আশা হারাননি এত সহজে।
রিয়াদ বলেন, ‘আমি বোলারদের শুধু বলেছি ঠিক জায়গায় বল করে যেতে। নিজের শক্তির জায়গায় থেকে লাইন ও লেন্থ অনুযায়ী বল করতে বলেছি। হ্যাঁ, রান নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলাম। তারপরও বোধহয় আমরা ১০ রান কম করেছি। ১৭০ এর বেশি রান করলে ভালো লাগত। লিটন ভালো করেছে, আফিফ দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। শুরুতে বোলাররা জয়ের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিল।’
খুলনা গেজেট/ এস আই