আজ জেলহত্যা দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর জাতির ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায়।
১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর আগে ১৫ আগস্টের পর এই চার জাতীয় নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
জাতি আজ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত এই কালো অধ্যায়টিকে স্মরণ করবে। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে পালিত হবে শোকাবহ এই দিনটি।
সারাদেশের ন্যায় জেলহত্যা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন উপলক্ষ্যে খুলনাতে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
জেলহত্যা দিবসে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে। কর্মসূচিতে দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষভাবে আহবান জানিয়েছেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা।
এদিকে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও ১ মিনিট নিরবতা পালন এবং সকাল ১১.১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নারে বই প্রদান।