বাবা আর কখনও আসবে না, ছোট্ট রুশদান এখনও তা বুঝে উঠতে পারেনি। মোশাররফ রুবেলের একমাত্র ছেলের ধারণা, সুস্থ হলে বাবা আবার ফিরে আসবেন বাসায়। কিন্তু তার বাবা যে অনন্তকালের পথে পাড়ি জমিয়েছেন গত ১৯ এপ্রিল।
রুবেল না থাকলেও রুবেলের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে চান তার স্ত্রী চৈতি ফারহানা রূপা। ক্রিকেটের সব পর্যায়ে পা রাখা বাবা রুবেলের স্বপ্ন ছিল, ছেলে রুশদানকেও ক্রিকেটার বানাবেন। চৈতির এখন লক্ষ্য রুবেলের সেই স্বপ্ন পূরণ করা।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে রুবেল বলেন, ‘রুবেলের খুব ইচ্ছা ছিল ছেলেটাকে ভালো একজন ক্রিকেটার বানানোর। আমি সর্বোচ্চ পরিমাণে চেষ্টা করব একজন ক্রিকেটার হিসেবে তৈরি করার।’
রুশদানের কাছে এদিন ছুটে যান ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ছোট্ট রুশদানের জন্য জায়নামাজ ও ব্যাট, বল, স্টাম্পসহ ক্রিকেটের সব সরঞ্জামাদি উপহার হিসেবে নিয়ে যান মেয়র। এ সময় তিনি বলেন, ‘রুবেলের স্ত্রী যেন আমাকে পরিবারের সদস্য ভাবে।’
তবে এসব আশ্বাসেও তো আর ফিরে আসবেন না রুবেল। রুবেলকে হারিয়ে চৈতির তাই অশ্রুসজল দুই চোখ। তিনি বলেন, ‘রুবেল কেমন মানুষ ছিল এটা তো আপনারা সবাই জানেন। ও একজন নিখাদ ভদ্রলোক। একজন মানুষের যত ভালো গুণ থাকতে হয় রুবেলের সব ছিল। আমাদের সাড়ে ৭ বছরের সংসার এত সুন্দরভাবে শুরু হল আবার শেষও হয়ে গেল। সব কিছু এত শূন্য। এভাবেই হয়ত আমাদেরকে বাঁচতে হবে।’