খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৭ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  সামিট গ্রুপের আজিজসহ পরিবারের ১১ সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
  সামিট গ্রুপের আজিজসহ পরিবারের ১১ সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
  সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার

চৌগাছায় শ্রমিক সংকটে পালা করে ধান কাটা শুরু

চৌগাছা প্রতিনিধি

যশোরের চৌগাছায় মাঠের পর মাঠ বোরো ধান পাকা শুরু হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে চাষিরা ধান কাটা জোন না পেয়ে সকলের গাতা (পালা) করে ধান কাটতে শুরু করেছেন। এতে করে সামাজিক বন্ধন যেমন সুদৃঢ় হবে, তেমনি ভাবে অল্প খরচেই সকল কৃষক ধান ঘরে তুলতে পারবেন বলে মনে করছেন অনেকে।

মহামারি করোনা ভাইরাসে প্রতি দিনই মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। এমন পরিস্থিতিতে সরকার দেশব্যাপী দুই সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষনা করেছে। বিগত বছর গুলোতে বোরো ধান পাকা শুরু হলেই দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে ধান কাটা জন উপস্থিত হত উপজেলার প্রতিটি গ্রাম পাড়া মহল্লাতে। কিন্তু এবার লকডাউনের কারণে লেবার আসা প্রায় বন্ধ, অন্যদিকে ধান পাকা শুরু করেছে। কৃষকরা অন্য কোন চিন্তা না করে নিজেদের মধ্যে গাতা (পালা) করে ধান কাটা শুরু করেছেন। এতে করে সামাজিক বন্ধন আরও সুন্দর, মজবুত হবে পাশাপাশি কৃষকরা লাভবানও হবেন মনে করছেন সচেতন মহল।

উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের বাদেখনপুর মাঠে দেখা যায় একদল কৃষক প্রখর রোদে ধান ক্ষেতে কাজ করে যাচ্ছেন। এ সময় কথা হয় ওই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে কৃষক রিপন হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, আগাম রোপনকৃত ধান ইতোমধ্যে পাকা শুরু হয়েছে। আর ৮/১০ দিনের মধ্যে মাঠের অধিকাংশ ধানই পেকে যাবে। ধান কাটা জন সংকট দেখা দিয়েছে, যারা আছেন তারা ১ বিঘা ধান কাটা বান্ধা ২৫শ টাকা খরচ চায়। খচর বেশি তাই আমরা মহল্লার বেশ কিছু কৃষক মিলে গাতা করেছি। প্রত্যেকেরই মাঠে কমবেশি ধান আছে। যার ধান আগে পেকেছে তার ক্ষেতে আমরা আগে কাজ করছি। আবহাওয়া ভাল থাকলে পর্যায়ক্রমে সবার ধান কেটে ঘরে তুলতে পারব বলে মনে করছি।

কৃষক শিমুল হোসেন, কামারুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, রিপন হুসাইন, জামিল হোসেনসহ গাতায় প্রায় ১০/১২ জন সদস্য আছে। গাতার সকল সদস্য অত্যান্ত প্রাণবন্ত ও একে অপারের কষ্ট ভাগাভাগি করে নেয়ার ফলে তারা দ্রুতই কাজে সফল হচ্ছেন বলে জানান। মহামারি করোনার এই সময়ে প্রতিটি গ্রামের চাষিরা এমন একত্রিত হয়ে কাজ করলে সহজেই বোরো ধান ঘরে আসবে বলেও তারা মনে করেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাইচ উদ্দিন বলেন, আর কয়েক দিনের মধ্যেই ধান কাটা শুরু হয়ে যাবে। আমরা কৃষককে ধান কাটা, ঝাড়া এমনকি বস্তা ভরার মেশিন দিয়েছি। কৃষক এতে উপকৃত হচ্ছেন। তবে গ্রামে দলবদ্ধ ভাবে কাজ করাকেও তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন। এতে করে পরস্পর সকলেই উপকৃত হবেন।

খুলনা গেজেট/এমএইচবি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!