যশোরের চৌগাছা উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। পদ থাকলওে র্দীঘদিন উপজেলা সরকারি মডেল হাসপাতালে নেই চোখের ডাক্তার। বেকায়দায় পড়েছেন চক্ষু রোগীরা। ছোঁয়াচে এ ভাইরাল ইনফকেশন রোগ দেখা দিয়েছে উপজেলা ব্যাপী।
উপজেলা স্বাস্থ বভিাগ সূত্রে জানা গেছে, বিরুপ আবহাওয়ার কারণে চোখে ছোঁয়াচে ভাইরাল ইনফকেশন হচ্ছে। এ রোগে চোখ লাল হয়ে ফুলে যায়। চোখ চুলকায়, ব্যথা হয়। প্রচণ্ড যন্ত্রণা করে। তবে পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে ভাল হয়ে যায়। পরিবারের একজন সদস্য এ ভাইরাল রোগে আক্রান্ত হয়ে অসাবধানভাবে চলাফেরা করলে পুরো পরবিার আক্রান্ত হতে পারে। তবে চিকিৎসা নিলে পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
তবে গত কয়েকদিন উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা যায় প্রায় সব বয়সের মানুষ এ ছোঁয়াচে ভাইরাল ইনফেকশন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বড়দের তুলনায় শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি।
জানা যায়, উপজেলা সরকারি মডেল হাসপাতালে চক্ষু চিকিৎসকের পদ থাকলেও র্দীঘদিন চক্ষু চিকিৎসক না থাকায় বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। অনেকে বাধ্য হয়ে জেলা শহর যশোর ও বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকের চিকিৎসকের কাছে ছুটছেন। শরণাপন্ন হচ্ছেন প্রাইভেট চক্ষু চিকিৎসকের।
চৌগাছা কামিল মাদরাসার পরীক্ষা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষা দিতে আসা রাকিব হাসান বলেন, দু’দিন যাবৎ চোখ লাল ও প্রচণ্ড ব্যথা করছে। পরীক্ষা দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমাদের গ্রামের অনেক মানুষের চোখে এ রোগ হয়েছে।
চৌগাছা মডেল মাধ্যমকি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল আহমেদ বলেন, আমার স্ত্রী ও ছোট মেয়ে এ রোগে আক্রান্ত। স্কুলে প্রায় ১০ জন শিক্ষার্থী আক্রান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছে ১২ জনের মতো। র্বতমানে পূজার ছুটি চলছে। তবে এ রোগের প্রভাব ব্যাপক হারে বেড়েছে। ডাক্তারের চিকিৎসা নেওয়ার জন্য পরমর্শ দিয়েছি।
চৌগাছা উপজেলা সরকারি মডেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আল-ইমরান বলেন, গত দু’দিনে চোখে ভাইরাস আক্রান্ত শতাধকি রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত রোগীকে আলাদাভাবে থাকতে বলা হচ্ছে। তার ব্যবহৃত তোয়ালে, গামছা, রুমালসহ অন্য সবকিছু আলাদা রাখার পরার্মশ দেওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস যে ব্যবহার করবে সেও এ রোগে আক্রান্ত হবে। চোখ ওঠা এই রোগ থেকে বাঁচতে নিজেদের সচেতন হতে হবে। চোখে কালো চশমা ব্যবহার করতে হবে।চোখে নিয়মিত ড্রপ দিতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
খুলনা গেজেট/এসজেড