খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

চৌগাছায় তিন দিন পরে লাশ উদ্ধার 

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের চৌগাছায় প্রায় তিন দিন পর নিজ বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে হাশেম গাজী (৬৫) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার ধুলিয়ানী বাজারপাড়ার মৃত তোরাব আলী গাজীর ছেলে। বৃহস্পতিবার ( ৪ মে ) দুপুরে মরদেহ উদ্ধারের পর ওইদিন বাদ আসর নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
চৌগাছা থানা পুলিশ ও মৃতের স্বজনরা জানান, হাশেম আলী গাজী ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় ওই বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ছোট মেয়ে ঘরের মধ্যে পিতার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে তার চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি থানা পুলিশকে খবর দেন।
হাশেম আলী গাজীর বড় ছেলে হাসান আলী ও ছোট ছেলে শাহা পরান জানান, তারা চার ভাই ও দুই বোন। বড় ভাই হাসান আলীসহ তিন ভাই ঢাকায় চাকরি করেন। বড় বোন নাজমা খাতুন বিয়ে সূত্রে ময়মনসিংহে থাকেন। বাড়িতে পিতা হাশেম গাজী, মা কল্পনা বেগম, ছোট ভাই শাহপরান ও ছোট বোনটি থাকেন।
মঙ্গলবার মা ও ছোট ভাইবোন পাশের মশ্মমপুর (ঢেঁকিপোতা) গ্রামে নানি বাড়িতে বোরো ধান কেটে মাড়াই করে বাড়িতে আনতে যান। মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে পিতার সাথে তার মায়ের ফোনে কথা হয়। এরপর কর্মব্যস্ততায় আর ফোন দেয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার দুপুরে ছোট বোন নানা বাড়ি হতে নিজেদের বাড়িতে এসে ঘরে খাটের ওপর পিতার মরদেহ দেখতে পান। ধারনা করা হচ্ছে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কোন এক সময় তিনি মারা যান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও তার স্বজনরা বাড়িতে ছুটে যান।
ধুলিয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মমিনুর রহমান জানান, ইতোপূর্বে তিনি দু’বার স্ট্রোক করেছেন। শারীরিকভাবে তিনি অসুস্থ ছিলেন। তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ধান গোছানোর কাজে বাপের বাড়ি মশ্মমপুর গ্রামে যান। পরিবারের কারো কোন অভিযোগ না থাকায় হাশেম গাজীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
চৌগাছা থানা পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তি একের অধিক ব্রেন স্ট্রোক করেছেন। সর্বশেষ ঈদুল ফিতরের কিছুদিন আগেও স্ট্রোক করেন। ঢাকায় বড় ছেলে হাসান আলীর কাছে থেকে চিকিৎসা নিয়ে ঈদের আগের দিন বাড়িতে আসেন। পরিবারের কারও কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!