যশোরের চৌগাছা উপজেলার সলুয়া বাজার থেকে চিহ্নিত এক চোরাকারবারীর কাছ থেকে চারটি সোনার বার ছিনতাই হয়েছে। বিষয়টির খোঁজ খবর নিচ্ছে পুলিশ। সোনা খোয়ানো চোরাকারবারীর হা-হুতাশের একটি ভিডিও চিত্রও ঘুরপাক খাচ্ছে সোস্যাল মিডিয়ায়।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর রাতের কোন এক সময়ে সলুয়া বাজার থেকে সোনার চারটি বার ছিনতাই হয়।
স্থানীয়রা জানান, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যাদবপুরের রবিউল ও চৌগাছার জসিম নামে দুই চোরাকারবারীর চারটি সোনার বার এ স্থানে ছিনতাই হয়েছে। রবিউল সোনার বারগুলো নিয়ে ঝিকরগাছা বাজারের উদ্দেশ্যে বের হন। সেখান থেকে বারগুলো বেনাপোল সীমান্তের চোরাপথ দিয়ে ভারতে পাচার করা হতো। কিন্তু পথে রবিউল সলুয়া বাজারের কাছে স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের পাল্লায় পড়েন। এ চক্রের সদস্য চুড়ামনকাটি ও আব্দুলপুর এলাকার আবুল কালাম, ইসলাম, ইমরান, রায়হান ও পান্না বারগুলো ছিনিয়ে নেয়। যার মূল্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা।
এরপর তারা এলাকায় ফিরে গিয়ে প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করলেও প্রশাসন বিষয়টি আমলে নেয়নি। পরবর্তীতে সোনা হারানো রবিউল তা ফিরে পেতে বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দেন। সোনার বারগুলো অবৈধ হওয়ায় তিনি আইনেরও আশ্রয় নিতে পারছেন না। এক পর্যায়ে ছিনতাইয়ের শিকার রবিউলের একটি ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাওয়ায় তা এলাকায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। শেষমেষ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। ফলে এ বিষয়ে খোঁজ নিতে শুরু করেছেন গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় ফাঁড়ির পুলিশ কর্মকর্তারা।
এদিকে, সোনার বার ছিনতায়ের তথ্য স্থানীয় সাজিয়ালি ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সুকুমার কুন্ডের কাছে পৌছাবার পর তিনি খোঁজ নেয়া শুরু করেছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ঘটনাটি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। তবে কেউ এ ব্যাপারে থানায় বা ফাঁড়িতে কোন অভিযোগ করেননি। এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে চুড়ামনকাটি ও আব্দুলপুরের বেশ কয়েকজনের নাম আসছে বলে তিনি দাবি করেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই