চুকনগরে বিসিআইসি ডিলার কর্তৃক বরাদ্দকৃত সার সময়মত ও সঠিক পরিমাণ না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ৫জন সাব ডিলার ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের অর্ন্তগত বিভিন্ন বাজারে সার ও কীটনাশক খুচরা বিক্রেতাগণ তাদের (প্রাপ্ত রিসিভ কপি) অভিযোগে উল্লেখ করেন, অত্র অঞ্চলের বিসিআইসি ডিলার মেসার্স নাজের আলী ট্রেডার্স, প্রোঃ নাজের আলী শেখ, পরিচালনায় মোঃ রাইসুল ইসলাম রনি ডিলারের মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতা হিসাবে প্রতি মাসের বরাদ্দকৃত সার সময়মত ও সঠিক পরিমাণ তারা পায় না। যার ফলে তারা কৃষকদের চাহিদা মোতাবেক সার দিতে ব্যর্থ হয়। কৃষকের চাহিদা মোতাবেক সার না পাওয়াতে তাদের কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে এবং কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। উক্ত ডিলারের নিকট তারা সার চাইলে না দেওয়ার জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার মারফত বিভিন্ন অজুহাত দেয়ায় ও চাহিদা মোতাবেক সার চাইলে দেয় না।
এমতাবস্থায় অন্য ডিলারের নিকট থেকে সার বেশী মূল্যে এনে এলাকার কৃষকদের চাহিদা মেটাতে হয়। আবার অন্য বাজার থেকে সার আনলে ডিলারকে বস্তা প্রতি ২০টাকা চাঁদা দিতে হয়। ফলে কৃষকদের সঠিক মূল্যে সময়মত সরবরাহ করতে তারা ব্যর্থ হয়। একারণে সুকর্ণ ঘোষ, লিটন ঘোষ, সুবোল ঘোষ, দ্বীন মোহাম্মদ ও রায়হান মোড়ল নামে ৫জন সাব ডিলার ডুমুরিয়া নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এব্যাপারে আটরিয়া ইউনিয়নের সার ডিলার মোঃ রাইসুল ইসলাম রনি বলেন, গত ৬মার্চ আমাদের ইউনিয়নের বরাদ্দকৃত সার পাওয়ার পর উপসহকারী কৃষি অফিসার ও আমি নিজে সকল সাব ডিলারকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছি সার নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু কয়েকজন সাব ডিলার সার না নিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করে বেড়াচ্ছে।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ইসরাত আলম পৃথ্বী বলেন, আটলিয়া ইউনিয়নে যে সার আসে আমি উপস্থিত থেকে সে গুলো সুষ্টুভাবে বন্টন করার চেষ্টা করি। যাতে সাব ডিলাররা সুষ্টুভাবে সারগুলো পেতে পারে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, সাব ডিলারদের কোন সমস্যা থাকলে তারা আমাকে জানাতে পারতো বা আমার সাথে পরামর্শ করতে পারতো। সেই সমস্যা আমি সমাধান করতে ব্যর্থ হলে তারপর তারা অভিযোগ করতে পারতো। কিন্তু আমার সাথে কোন পরামর্শ ছাড়াই তারা একটি অভিযোগ করেছে। যার কোন ভিত্তি নেই।
খুলনা গেজেট/কেএম