রাজনীতিবিদ, খুলনা নাগরিক সমাজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড অ্যাড. ফিরোজ আহমেদ এর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা নাগরিক সমাজের উদ্যোগে ৯ মার্চ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সদস্য সচিব অ্যাড. মোহাম্মদ বাবুল হাওলাদারের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের অন্যতম সদস্য মানবাধিকার সংগঠক এস এম দেলোয়ার হোসেন ও নীরবতা ভাঙ্গো’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নাজমুল তারেক তুষারের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে স্মৃতিচারণ করেন গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নিতাই পাল, কবি ও সাংবাদিক আবু আসলাম বাবু, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক রোটাঃ সরদার মোঃ আবু তাহের, খোদেজা ফাউন্ডেশনের খ ম শাহীন হোসেন, প্রধান শিক্ষক সাঈদা পারভীন, কবি রোজী সিদ্দিকী, আরেফীন কবির, হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, খুলনার উন্নয়ন আন্দোলনের অন্যতম রূপকার, নিপীড়িত শ্রমজীবী মানুষের আশ্রয়স্থল, গণমানুষের প্রিয় নেতা কমরেড অ্যাড. ফিরোজ আহমেদ এর মৃত্যুর ১০টি বছর অতিবাহিত হলেও নিবেদিতপ্রাণ, ত্যাগী এ নেতার স্মৃতি রক্ষার্থে বার বার দাবী উত্থাপিত হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো সড়ক বা স্থাপনার নামকরণ করেননি।
বক্তারা তাঁর নামে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে জয়বাংলার মোড় সড়কটির অথবা বিকল্প কোনো সড়ক বা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিতব্য কোনো স্থাপনার নামকরণের দাবি জানান। অ্যাড. ফিরোজ আহমেদ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের প্রথম কাতারের নেতৃত্বদানকারী উল্লেখ করে বক্তারা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনার জন্য আহ্বান জানান।
বক্তারা কমরেড ফিরোজ আহমেদের দীর্ঘ কর্মজীবন তুলে ধরে তাঁর জীবনের গুণাবলী চর্চা এবং প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান। সভার শুরুতে কমরেড অ্যাড. ফিরোজ আহমেদ এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে কিছুক্ষণ নিরবতা পালন ও স্মরণসভা শেষে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা গেজেট/কেডি