ঈদের আগের দিন (১৩ মে) যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিট (রেড জোন) থেকে পালিয়ে যাওয়া ভারত ফেরত বাংলাদেশি ইউনুস আলী গাজীর (৪০) খোঁজ মেলেনি। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়েও ধরতে পারেনি করোনাভাইরাস বহনকারী ইউনুসকে।
এদিকে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরও পালিয়ে যাওয়ায় করোনা ইউনিটে কর্তব্যরত দু’নার্স ও এক নিরাপত্তা প্রহরীকে শো’কজ সহ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একই সাথে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে সোমবার তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হিমাদ্রি শেখর সরকার। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাক্তার আব্দুর রহিম মোড়লকে প্রধান করে গঠিত কমিটিতে সদস্য সচিব রয়েছেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ। এছাড়াও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার সাইনূর সামাদ ও উপসেবা তত্ত্বাবধায়ক ফেরদৌসী বেগম সদস্য হিসেবে তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা করবেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ঈদের আগের দিন করোনা ইউনিটে (রেড জোন) রোগী সেবার কাজে নিয়োজিত ছিলেন সিনিয়র স্টাফ নার্স বিজলী বালা রপ্তান ও শিউলী সরকার। গেটে নিরাত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন মুজিবর রহমান। ওইদিন বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে ভারতফেরত করোনা পজিটিভ ইউনুসকে ভর্তি করে হাসপাতালের রেডজোনে পাঠানো হয়। ইউনুস চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ চররামপুর গ্রামের লুৎফর রহমান গাজীর ছেলে। চিকিৎসা না নিয়েই কৌশলে পালিয়ে যায় ওই ব্যক্তি। বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করে। এরপর পুলিশ তাকে ধরতে অভিযান চালালেও তাকে আটক করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, এরআগে গত ১৮, ২০, ২৩ ও ২৪ এপ্রিল হাসপাতাল থেকে ভারত ফেরত সাতজনসহ ১০ জন করোনা পজিটিভ রোগী পালিয়ে যায়। ২৬ এপ্রিল রাতে সকল রোগীকে আটক করে হাসপাতালে ফিরিয়ে আনে পুলিশ। ওই ঘটনায়ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি তদন্ত শেষ করে তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ।
খুলনা গেজেট/ এস আই