খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেছেন, খুলনার উন্নয়নে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার খুবই আন্তরিক। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে খুলনার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে। তাঁরই আন্তরিকতায় খুলনায় ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’, ১৬ তলা বিশিষ্ট ক্যান্সার ইনস্টিটিউট, আধুনিক শিশু হাসপাতাল স্থাপিত হচ্ছে। খুলনা নগররীর উন্নয়নের জন্য ২৮৬৭ কোটি টাকার একটি মেগা প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার , জনগণের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও জীবন যাত্রার মান সেই সাথে শহরের অর্থনেতিক কার্যক্রমের সম্প্রসারন ও ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিল্পনগরী খুলনাকে সেরা নগর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে চান। তার জন্য যা যা করণীয় খুলনাবাসীর জন্য সেটাই করবেন বলে তিনি আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন। খুলনাতে খুব শীঘ্রই অর্থনৈতিক জোন তৈরি করা হবে। যেখানে নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন করা হবে। খুলনার খালিশপুরে নতুন নতুন কলকারখানা স্থাপন করা হবে। খুলনার মানুষের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। খুলনা হবে বাংলাদেশের অন্যতম নগরী। শিল্পনগরী খুলনা তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে বলে তিনি আশা করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় খুলনার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচীর আওতায় ২য় পর্যায়ে গৃহিত প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দকৃত নগত অর্থের চেক এবং ঐচ্ছিক তহবিলের ‘চেক বিতরণ অনুষ্ঠান’ এ ভার্চুয়্যালি উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী ড. সাইদুর রহমান। অনুষ্ঠানে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দ্দারসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, অনুষ্ঠানে খুলনা-২ আসনের ৪৯ টি মসজিদ, মাদ্রাসা ও মন্দিরকে ৪৯ লক্ষ ৫৭ হাজার ৬ শত ৬৬ টাকার চেক এবং ২৫ জন দুঃস্থ মানুষের মাঝে ১০ হাজার টাকা করে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
ঐচ্ছিক তহবিলের অনুদানের চেক গ্রহনকারী মো. সুজায়েত আলী অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমি খুলনাতে রিকসা চালানের পাশাপাশি কলেজে লেখাপড়ার করি। এই ১০ হাজার টাকা আমার শিক্ষা গ্রহনের ক্ষেত্রে অনেকটা সহায়তা করবে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা ও সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
শারিরীক প্রতিবন্ধী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি শারিরীক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ঠিকভাবে রিকসা চালাতে পারিনা। তাই ৫ জনের সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে যায়। এ অনুদানের টাকায় আমি রিকসার ব্যাটারী কিনে মেশিনের রিকসা চালাতে পারবো। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচীর আওতায় ১ লক্ষ টাকা অনুদান পাওয়া বাগমারা গোবিন্দ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক বলরাম চক্রবর্তী জানান, আমরা এ টাকা দিয়ে মন্দিরের উন্নয়নের কাজ করবো। টাকার জন্য আমরা মন্দিরের উন্নয়নের কাজ করতে পারছিলাম না। এজন্য খুলনা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলকে আমরা সনাতন ধর্মালম্বীদের পক্ষ থেকে তাকে আন্তরিকভাবে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। খবর বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট/কেএম