গত ২২ অক্টোবর বিএনপির খুলনা বিভাগীয় মহাসমাবেশে ট্রলারযোগে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত শেখ সাজ্জাদুল ইসলাম জিকো (৩৫)শুক্রবার ভোরে মারা গেছে।
ঐ ঘটনায় জিকোসহ অনেকেই গুরুতর জখম হন। এর মধ্যে জিকোর মাথা ফেঁটে গেলে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ওই সময় তাকে ১১টি সেলাই দেয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি চিকিৎসা শেষে পায়গ্রাম কসবা নিজ বাড়িতে ফেরেন। এ ঘটনার এক মাসের অধিক সময়ের পর শুক্রবার ভোরে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু ঘটে।
তিনি ফুলতলা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও মৃতঃ শেখ শওকত হোসেনের পুত্র। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ শিশুকন্যাসহ বহু আত্মীয় স্বজন রেখে যান। বাদ আছর পায়গ্রাম কসবা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, অধ্যাপক ডাঃ গাজী আঃ হক, এস এ রহমান বাবুল, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আবু হোসেন বাবু ও আশরাফুল আলম নান্নু, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল বাশার, বিএনপি নেতা শেখ লুৎফর রহমান, আনোয়ার হোসেন বাবু, বাবর আলী, মোল্যা মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে বিএনপি নেতা সাজ্জাদুর রহমান জিকোর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশে অংশগ্রহন করতে আসার সময় শাসকদলের ক্যাডারদের ধারালো অস্ত্রাঘাতে বিএনপি নেতা সাজ্জাদুর রহমান জিকো মারাত্মক আহত হন। একটু সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরলে আবারও তাকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বেধড়ক মারপিট করে। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাজ্জাদুর রহমান জিকো বৃহস্পতিবার রাতে ইন্তেকাল করেন।
বিএনপি নেতারা বলেন, হাসিনা সরকার ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য বিএনপি নেতা জিকোকে হত্যা করেছে। একদিন এই হত্যাকান্ডের বিচার খুলনার মাটিতেই হবে। যারাই এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তাদের আইনের মুখোমুখি হতেই হবে।