আরব সাগর থেকে আসা জলীয় বাস্পপূর্ণ উষ্ণ বায়ু আর একরাশ কুয়াশার সঙ্গে শীতের লুকোচুরি চলছিল এত দিন। অবশেষে শীত জেঁকে বসার সব বন্দোবস্ত পাকা। খুলনাঞ্চলকে ঘিরে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার সঙ্গে শীতের প্রকোপ বেড়েই চলছে, আর আকাশে মেঘ যা ছিল তা সরে যাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে খুলনার কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তাপমাত্রা এক দিনের ব্যবধানে দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে গেছে। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার ফলে অনেক সময় রোদের দেখা মিলছে না। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রোদ না থাকায় দিনের তাপমাত্রাও কিছুটা কমেছে। অবশ্য সন্ধ্যা নামতেই শীত তীব্রতা বেড়েই চলছে। রাতে নদীর তীরসহ বিভিন্ন স্থানে ঘন কুয়াশাও পড়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরাঞ্চল দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়তে শুরু করেছে। তা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তিন দিন ধরে খুলনার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলে তা আট থেকে নয় ডিগ্রিতে নেমে যেতে পারে। এটাই হবে মাঘের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়াবিদদের মতে, কোনো এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে শৈত্যপ্রবাহ বলা যায়। চলতি মাঘ মাসে দেশে দুইবার শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে।
জানতে চাইলে খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ খুলনা গেজেটকে বলেন, ‘শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা কমে খুলনার কয়েকটি স্থানে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আগামীকাল শনিবার থেকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এই শৈত্যপ্রবাহ দুই থেকে তিন দিন স্থায়ী হতে পারে।’
খুলনা গেজেট / এআর