খুলনা, বাংলাদেশ | ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  আজ পবিত্র আশুরা

খুলনায় ভ্যাকসিন নিতে চরম ভোগান্তি, স্বাস্থ্যবিধি উধাও!

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা জেনারেল হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। সিরিয়াল ভঙ্গ ও স্থান সংকটের কারণে মানুষের সমাগম ও টিকা দেওয়ার এস এম এস জটিলতা নিয়ে টিকা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা দেখা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতার কারণে টিকা গ্রহীতাদের বেগ পেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। যেখানে স্বাস্থ্যবিধি একেবারে মানা হচ্ছে না!

টিকা কেন্দ্রের সামনে দাড়িয়েছিলেন ষাটোর্ধ্ব সুফিয়া খাতুন। তিনি নগরীর পশ্চিম বানিয়াখামার বিহারী কলোনীর বাসিন্দা। দাঁড়িয়ে থাকাটা তার জন্য কষ্টকর। হাসপাতালে টিকা দেওয়ার জন্য সকাল ৯ টায় লাইনে এসে দাঁড়ান। কিন্তু লাইনের সিরিয়াল আর আসে না বলে তিনি জানান। বেলা সোয়া ১১ টায় তিনি এসএমএস চেক পয়েন্টের সামনে পৌঁছান। এর আগে পেছন থেকে এসে এক ভদ্র মহিলা কাগজপত্র দেখিয়ে ভেতরে টিকা দিতে চলে যান। তিনি সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ করেও কোন সুফল পাননি।

তানজিয়া খানম, খালিশপুর পোড়া মসজিদ এলাকার বাসিন্দা। স্বামীসহ এসেছিলেন টিকা নিতে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আমার বাসা যেহেতু খালিশপুর এলাকায় তার টিকা কেন্দ্র খালিশপুরস্থ তিতুমীর নেভী ক্যাম্পে। সেখানে না দিয়ে আমাদের জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখানে প্রচুর ভিড়। একে অপরের গা ঘেষে দাড়তে হচ্ছে। অনেক কষ্ট করে বুথে গিয়েছি। সেখানেও আধাঘন্টা দাড়িয়ে থাকার পর ভ্যাকসিন নিয়েছি। তাছাড়া এখানকার ব্যবস্থাপনা মোটেই ভাল না। সিরিয়াল মেইন্টেইন নেই। সবকিছুর পরিবেশ বাজে। পর্যাবেক্ষণ কেন্দ্র নেই। ভ্যাকসিন দেওয়ার পর অধাঘন্টা ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে থাকতে হয়। কিন্তু আমাদের টিকা দেওয়ার পর বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়।”

মাহাতাবুর রহমান, থাকেন গল্লামারী ব্যাংক কোয়ার্টারে। তিনি সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে টিকা গ্রহণের আবেদন করেছিলেন। এখনও মোবাইলে কোন এসএমএস আসেনি। তিনি জেনেছিলেন যে এসএমএস ছাড়া টিকা দেওয়া যায়। তাই আজ সোমবার সকাল ৯ টায় কেন্দ্রে এসে টিকা দেওয়ার জন্য দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সেখানে অপেক্ষা করেন। অপেক্ষার ফলাফল না পেয়ে তিনি হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।

খুলনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম মুরাদ হোসেন জানান, “এখানে জায়গার অনেক স্বল্পতা রয়েছে। মানুষ সচেতন না। যতক্ষণ তারা নিজেদের ব্যাপারটা বুঝতে পারবে ততক্ষণ আমরা এ অদৃশ্য শত্রুর মোকাবেলা করতে পারব না। অনেকেই অনেক ধরনের অভিযোগ করবে। সেটা ধরা যাবেনা। আমরা নিয়ম মাফিক আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আজও এ কেন্দ্র থেকে সাড়ে আটশ’ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।”

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!