খুলনায় আবারও বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। এ নিয়ে গত দু’মাসে তৃতীয় দফায় বাড়ানো হল এ মাংসের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি ৬২০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। সংকটের কথা জানিয়ে বৃদ্ধি করা হলেও ক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা।
নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রতি কেজি গরুর মাংস আজ শুক্রবার(১৮ মার্চ) ৬২০ টাকা ছিল। যা আগেরদিন ৬০০ টাকায় বিক্রি করেছেন খুলনার ব্যবসায়ীরা।
নগরীর ময়লাপোতা মোড়ের রাজু বীফ হাউজের কসাই মো: জাহাঙ্গীর বলেন, গত আট বছর ভারত থেকে কোন গরু দেশে আসে না। হাটে চাহিদার তুলনায় অনেক কম পাওয়া যায়। তাছাড়া নগরীতে কসাইয়ের সংখ্যাও অনেক। হাটে যা পাওয়া যায় তা নিয়ে রীতিমতো কাড়াকাড়ি হয়। দীর্ঘদিন ৫৫০ টাকায় বিক্রি করে পুঁজি হারানোর মতো অবস্থা হয়েছে তার। লস পোষাতে এ বছরের জানুয়ারি মাসে ৫৫০ টাকা থেকে ৩০ টাকা বাড়ানো হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে আরও ২০ টাকা বেড়ে ৬০০ টাকায় বিক্রি করতে হয়। আজ (১৮ মার্চ) মাংসের দাম আরও ২০ টাকা বৃদ্ধি করে ৬২০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।
ময়লাপোতা বাবু মিট হাউসের বাবু কসাই বলেন, গরুর খাবারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গরুর মালিক দাম হাকিয়ে বিক্রি করে। হাটে পাসের মূল্যও বেড়েছে। পরিবহন খরচও বেড়েছে। সরাইখানার চার্জও বেড়েছে। অতিরিক্ত দাম দিয়ে ক্রয় করে ৬০০ টাকায় বিক্রি করলে তার লস হয়। তাই উপায় না পেয়ে আজ তাকে এ দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বানরগাতি বাজারের ব্যবসায়ী মো: সালাম বলেন, চাহিদার তুলনায় গরু কম থাকায় বেড়েছে মাংসের দাম। হাট নিয়ন্ত্রণ হলে মাংসের দাম কমে যাবে। আজ থেকে এ দাম কার্যকর করা হয়েছে। মাংসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ব্যবসায়ী সমিতি বা সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধান্ত আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সাধারণ ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েছি।
গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতা ছাকিব হাওলাদার। তিনি বলেন, ঘোষণা ছাড়াই একের পর এক পণ্যের দাম বেড়ে চলেছে। করোনার ধকল এখনও মানুষ কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এরমধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম উর্ধ্বমুখী। ব্যবসায়ীরা যে অজুহাত দেখিয়ে মাংসের দাম বৃদ্ধি করেছেন সেটি অবাস্তব। ধারাবাহিক মূল্যবৃদ্ধিতে এখন গরুর মাংস খাদ্য তালিকা থেকে বাদ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। গরুর মাংসের দাম স্বাভাবিক রাখার জন্য বাজার সংশ্লিষ্টদের মনিটরিংয়ের দাবি জানান তিনি।
খুলনার সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুঞ্জি গরু মাংসের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি অবগত নন বলে এ প্রতিবেদককে জানান। তবে দাম বৃদ্ধির জন্য মাংসের সংকটের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি ।
খুলনা গেজেট/ এস আই