খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সোনারগাঁওয়ে টিস্যু গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট
  আগামীতে সরকারের মেয়াদ হতে পারে চার বছর : আলজাজিরাকে ড. ইউনূস
দশ বছর আগের মামলাও বিচারাধীন !

খুলনার প্রতি ট্রাইব্যুনালে গড়ে ২ শতাধিক ধর্ষণ মামলা বিচারাধীন

বিশেষ প্রতিনিধি

দশ বছর আগে দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলায় বিচার কার্যক্রম শেষ হয়নি আজও। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে একটি ধর্ষণ মামলার রায় হয়েছিল। গেল বছরে ট্রাইব্যুনালে আসা ৮০টি মামলার বিচারকার্য এখনো শুরুই হয়নি। ট্রাইব্যুনালের একজন বিচারক বদলী হয়েছেন চার মাস আগে, আরেকজন সাতদিনের ছুটিতে। তিনটি ট্রাইব্যুনালে প্রতিদিন গড়ে ৫০টি করে মামলার ধার্য্য দিন পড়ছে। খুলনার ট্রাইব্যুনালগুলোতে ৬১৯ মামলা বিচারাধীন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোঃ মহিদুজ্জামান গত ১২ জুলাই বদলী হয়েছেন। এ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বে অপর একজন জজ। জামিন শুনানী ও আপোষ যোগ্য মামলা ছাড়া অন্য কোন কার্যক্রম নেই। এ ট্রাইবুনালে ১২১টি ধর্ষণ মামলা বিচারাধীন। করোনা পরিস্থিতির জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানতে ট্রাইব্যুনালে স্বাক্ষী ডাকা হচ্ছে না।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এ ৩১০টি ধর্ষণ মামলা বিচারাধীন। এ ট্রাইব্যুনালের জজ সাতদিনের ছুটিতে আছেন। তিনি আগামী রবিবার থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতি মাসেই নতুন নতুন মামলা আসছে। এখানেও চার্জশীট আসছে বিলম্বিত হচ্ছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এ ১৫৯টি ধর্ষণ মামলা বিচারাধীন। তার মধ্যে নয়টি গণধর্ষণ। সবচেয়ে আলোচিত মামলা দৌলতপুরে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মোছাঃ হালিমাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকান্ড ঘটে ২০০৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর। মামলাটিতে ২৪জন স্বাক্ষীর মধ্যে ৬জন স্বাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ট্রাইব্যুনালে ২০১৯ সালের জুন থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৩টি নতুন মামলা এসেছে। এসব মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়নি এখনো। গতকাল এ ট্রাইবুনালে ১৭টি মামলার স্বাক্ষ্য, পাঁচটি শুণানীর জন্য এবং দু’টি তদন্তের জন্য দিন ধার্য্য ছিল।

ট্রাইব্যুনাল-১ এর পিপি অলোকা নন্দা দাশ জানান, স্বাক্ষী আসছে না। তাছাড়া করোনাকালীন সময়ে অনেক মামলা পেন্ডিং হয়ে আছে। এ ট্রাইবুনালের বিচারক সাতদিনের ছুটিতে। ফলে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে না।

ট্রাইব্যুনাল-২ এর পিপি জেসমিন পারভীন জলি জানান, গত বছরের জুন থেকে এ পর্যন্ত আসা মামলার বিচার কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। এ ট্রাইবুনালে ২০১১ সালের মামলাও বিচারাধীন। তদন্তকারী কর্মকর্তা চার্জশীট দিতে বিলম্ব করছেন। স্বাক্ষী না আসায় সবচেয়ে আলোচিত দৌলতপুরের শিশু হালিমা ধর্ষণ পরবর্তী হত্যা মামলার বিচার কার্য শেষ হচ্ছে না।

ট্রাইব্যুনাল-৩ এর পিপি মোঃ ফরিদ আহমেদ জানান, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নগরীর বাস্তুহারা কলোনীর আফসানা মীম নামের কিশোরীকে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যা মামলায় দু’জনের মৃত্যু দন্ডাদেশ দেয়া হয়। এটাই এ টাইবুনালের শেষ রায়। নতুন আইন অনুযায়ী ১৮০দিনের মধ্যে বিচার কার্যক্রম শেষ হলে সুফল পাওয়া যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

খুলনা গেজেট/এআইএন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!