বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি জনগুরুত্বপূর্ণ কের্ডীয় খাল ভরাট করে পাকা ভবন নির্মানের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান। শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে পৌরসভা সদরের কর্মকারপট্টির খালটির আংশিক ভরাট করে চলমান নির্মাণ কাজ বন্ধ করে সেখানে থাকা সকল মালামাল জব্দ করেন তিনি। এ সময় জমির মালিক কাতার প্রবাসী বিশারীঘাটা গ্রামের মো. শাহিন শেখ পালিয়ে যান।
পরে মোবাইল ফোনে শাহিন শেখ বলেন, তিনি জমি কিনে মিউটেশন করানোর পরে পৌরসভা থেকে হোল্ডিং নম্বর নিয়ে ৩৩ হাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফটসহ ৫ তলা ভবনের প্লান জমা দিয়েছেন। পৌরসভার সার্ভেয়র জমি পরিমাপ করে কাজ শুরু করার জন্য বলেন। সে অনুযায়ী কাজ শুরু করে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
অপরদিকে পৌরসভার সার্ভেয়র মো. জামাল শেখ বলেন, শাহিন শেখকে খালের পাড়ে ভবন নির্মানের কোন অনুমতি পৌরসভা থেকে দেওয়া হয়নি। ৫০ ফুট চওড়া খালের এখন আছে মাত্র ২০ ফুট।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান বলেন, প্রবাহমান খালের মধ্যে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মানের কাজ বন্ধ করে মালামাল জব্দ করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে স্থানীয়দের দাবি দীর্ঘদিনের এ খালটি কর্মকার পট্টি সংযোগ হয়ে ভাইজোড়া, কাঠালতলা ও সেরেস্তাদারবাড়ি সর্বসাধারনের প্রবাহমান খাল পলিপড়ে ভরাট হয়ে ছোট হয়ে এসেছে। বর্তমানে খালটি কেটে দু’পাড়ের শত শত মানুষের সমস্যা দুর করার দাবি জানান তারা।
খুলনা গেজেট/কেডি