কয়রা উপজেলার বামিয়া গ্রামে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে সাইফুল ইসলাম বাবলু। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) পাইকগাছা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ভারপ্রাপ্ত কয়রা) আদালতের বিচারক মো: আনোয়ারুল ইসলাম এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এর আগে ৭ জানুয়ারি রাত ১০ টার দিকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। সে বামিয়া গ্রামের আবু বক্কর গাজীর ছেলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উজ্জল কুমার জানান, গত শুক্রবার রাতে বমিয়া গ্রাম থেকে সাইফুল ইসলাম বাবলুসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময়ে রশিদ গাজী মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে কয়রা আদালতে ১৬৪ ধারায় ঘটনার বিবরণ দিয়ে জবানবন্দি প্রদান করে। সাইফুলসহ গ্রেপ্তার হওয়া অন্যান্য আসামিদের রিমান্ডের আবেদন করে প্রেরণ করলে আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একেক সময় একেক তথ্য উপাত্ত দিতে থাকে সে। হত্যাকান্ডের ব্যাপারে স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দিতে চায় সাইফুল। শনিবার তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। অন্যান্য আসামিরা রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না দেওয়ায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আইও আরও জানান, কয়রায় ট্রিপল হত্যাকান্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা। সাইফুল আদালতে অনেক কিছু স্বীকার করেছে। তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হয়েছে। মামলায় এ পর্যন্ত ১৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ রিপোর্ট দেওয়ার পর সব কিছু জানানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গেল বছরের ২৫ অক্টোবর দিবাগত রাতে কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের বামিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মাজেদ গাজীর ছেলে হাবিবুল্লাহ গাজী, তার স্ত্রী বিউটি খাতুন ও তার একমাত্র কন্যা হাবিবা খাতুন টুনিকে হত্যা করে পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে পরেরদিন সকাল সাড়ে আটটায় স্থানীয় মাজেদের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
খুলনা গেজেট/ এস আই