মুরগি কিনে পরিস্কার করতে দেওয়া হয় দোকানীকে। দোকানের ভিতরে নিজ কক্ষে নিয়ে জীবিত মুরগি পরিবর্তন করে মরা মুরগি তুলে দেয় ক্রেতার হাতে। ক্রেতা মুরগি নিয়ে তার সন্ধেহ হলে কক্ষে প্রবেশ করে দেখতে পায় মরা মুরগির দুটি বস্তা। তার মুরগি পরিবর্তন করে সেখান থেকে কৌশলে মরা মুরগি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি দোকানীর কাছে জানতে চাইলে ভূল হয়েছে স্বীকার করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনাটি ঘটেছে খুলনার পাইকগাছা পৌর সদরের মুরগি বাজারে। এদিকে মরা মুরগি বিক্রির দায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে দোকান বন্ধ করে দিলেন প্যানেল মেয়র শেখ মাহবুবুর রহমান রঞ্জু।
পাইকগাছার পৌর মেয়র মাহাবুবুর রহমান রঞ্জু জানান, শনিবার বিকাল ৪ টায় পৌর সদরে মুরগী ব্যবসায়ী খায়রুল আলমের নিকট খোকা সরদার নামে এক ক্রেতা মুরগি কিনে পরিস্কার করে দিতে বলে। এরপর তিনি তার ব্যক্তিগত ঘরের ভেতর থেকে পরিস্কার করে ক্রেতাকে মুরগিটি দিলে তার সন্ধেহ হয়। এ সময় তিনি জোরপূর্বক তার ঘরে ভেতরে প্রবেশ করে দুই বস্তায় ১৫/২০ টি মরা মুরগী দেখতে পান।
এ ব্যাপারে ওই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, ভুলক্রমে তাকে ভালো মুরগি রেখে মরা মুরগী দেওয়া হয়েছে। সেটি তাদের ভুল হয়েছে বলেই দোকান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
আরেক ক্রেতা সুশান্ত মন্ডল জানান, তিনি মুরগি ব্যবসায়ী খায়রুল আলমের নিকট থেকে ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের মুরগি কিনে পরিষ্কার করে বাড়িতে নিয়ে ১ কেজি ৯০০ গ্রাম হলে তিনি ফিরে এসে বিষটি বিক্রেতাকে জানালে তিনি ভুলক্রমে মরা মুরগি দেওয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
এরপর বিষটি পৌর প্যানেল মেয়র ও সোলআনা ব্যবসায়ী সমিতির নের্তৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, মরা মুরগি বিক্রির বিষটি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বিক্রেতাকে দোকানে না পেয়ে পৌর প্যানেল মেয়রকে ওই দোকানটি বন্ধ করে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পরে আইগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/এমএম