কেশবপুরে প্রেমের পরিনতিতে বিয়ের দুই বছরের মাথায় ৪ মাসের শিশু সন্তানসহ স্ত্রীকে ফেলে পালিয়েছে প্রেমিক স্বামী তরিকুল ইসলাম। স্বামী ও সংসার ফিরে পেতে প্রেমিকা স্ত্রী সম্পা খাতুন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
কেশবপুর থানায় অভিযোগ ও সম্পা খাতুনের স্বাক্ষাতকালে জানাগেছে, কেশবপুর উপজেলা হাসানপুর ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম মালীর মেয়ে সম্পা খাতুন (২১) উপজেলার সাঁগরদাড়ি ইউনিয়নের চিংড়া গ্রামের নুর ইসলাম মোড়লের ছেলে পশু চিকিৎসক ডাক্তার তরিকুল ইসলামের সাথে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সম্পা খাতুন কালিয়ারই বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। তারা ২০১৯ সালে উভয় পরিবারের অমতের বিরুদ্ধে পালিয়ে বিয়ে করলেও পরে তরিকুল ইসলামের পরিবার তাদের বিয়েকে মেনে নেয়। কথায় বলে ঘরে যখন অভাব আসে ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
ইতিমধ্যে তাদের দাম্পত্য জীবনে ২১/০৫/২০২১ তারিখে ‘সারিয়ান’ নামের একটা সুন্দর ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সম্পা খাতুনের পিতা হতদরিদ্র কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন মেয়ের জামাই তরিকুল ইসলাম পেশায় পশু চিকিৎসক হলেও সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। প্রায় নেশায় আসক্ত হয়ে স্ত্রী কে মারপিট করতে থাকে। অভাবের ভারে ও মাদকের নেশায় তরিকুল ইসলাম চারমাসের শিশু সন্তান সহ প্রেমিক স্ত্রী কে বাড়িতে ফেলে পালিয়ে যায়। তরিকুলের পিতা-মাতা সম্পা খাতুন ও তার সন্তানের কোনো খবর নেয়না। তরিকুল ইসলাম গত এক মাসেও স্ত্রী ও শিশু সন্তানের কোনো খবর নেয়নি। অবশেষে মেয়ের জামাইয়ের কোনো সন্ধান না-পেয়ে মেয়ে সম্পা খাতুন ও তার শিশু সন্তানকে পিতা সিরাজুল ইসলাম তার বাড়িতে নিয়ে আসে। শুক্রবার দুপুরে কেশবপুর থানায় তরিকুল ইসলাম মোড়লের বিরুদ্ধে স্ত্রী ও শিশু নির্যাতনের বিচারের দাবীতে ও স্বামীর সংসার ফিরে পেতে একটি অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে থানার এ এস আই ফিরোজ জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম