কেশবপুরের পাঁজিয়ায় সড়কে ফাটল দেখা দিয়েছে। রাস্তাটির মাটি ধসে পুকুরে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। পাঁজিয়া বাজারের পশ্চিম দিক থেকে এম এম দাখিল মাদ্রাসা হয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কে ভারি যানবাহন চলাচল করায় মাহাবুর রহমানের পুকুর পাড়ে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে।
জনবহুল রাস্তাটি দিয়ে প্রায় ছয় সাত গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। ওই সড়কের পাশে পাঁজিয়া গ্রামের মাহাবুর রহমানের সাড়ে তিন বিঘা একটি পুকুর রয়েছে। পুকুরটিতে কয়েক বছর মাছ চাষ করা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সম্প্রতি পুকুরে রাসায়নিক সার ব্যবহার করে মাছ চাষ করায় সড়কের পাশের মাটি নরম হয়ে গেছে। যে কারণে ভারি যানবাহন চলাচল করায় পুকুরের পাশ দিয়ে সড়কে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটলটির মধ্যে ইট বালি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। এতে যে কোনো সময় ওই ফাটলের ভেতর যানবাহনের চাকা আটকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী আশংকা করছেন।
পাঁজিয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, মাছ চাষ করতে গিয়ে অতিরিক্ত সার প্রয়োগ করায় পুকুর পাড়ের বিভিন্ন গাছের নীচ দিয়ে মাটি সরে তলা ফাঁকা হওয়ায় পাড়সহ রাস্তাটিতে ফাটল ধরেছে। যা অচিরেই পুকুরে ভেঙে পড়বে।
মাছ চাষী আজিজুর রহমান বলেন, মাত্র আট মাস মাস আগে তিনি ওই পুকুরটি হারি নিয়েছেন। পুকুরে মাছের ডিম থেকে পোনা উৎপাদন করা হয়। চারা পোনা মাছ চাষে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয় না। শুধুমাত্র খৈল ও ভূষি মাছের খাবার হিসেবে দেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, মালিক চাইলেই মাছ ধরে নিয়ে পুকুর ছেড়ে দেয়া হবে।
পুকুর মালিক মাহাবুর রহমান বলেন, পুকুরে কখনো রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয় না। ওই সড়কে ভারি যানবাহন যাওয়ার কারণে পুকুর পাড়ের মাটি ধসে ফাটলটির সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল বলেন, ওই সড়কে মাহাবুর রহমানের পুকুর পাড়ের ফাটলটির বিষয়ে জানতে পেরেছি। পুকুর মালিককে দ্রুত সড়কের পাশে ভেড়িবাঁধ তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই