কারাদণ্ডের আগে আসামি যত দিন হাজতবাসে ছিলেন, সে সময়কাল মোট সাজা থেকে বাদ যাবে। সব ধরনের মামলার ক্ষেত্রে বিষয়টি কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ পাঁচ বিচারকের আপিল বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ।
আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ইউনুছ আলী নামে এক আসামিকে নিম্ন (বিচারিক) আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। পরে হাইকোর্ট মৃত্যদণ্ড থেকে কমিয়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
ইউনুছ আলীর আইনজীবী আপিল বিভাগকে জানান, এরই মধ্যে ইউনুছ আলী ২৬ বছর সাজা খেটেছেন। প্রচলিত সিআরপিসির ৩৫ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, বিচারকালীন আসামি যত দিন হাজতবাস করবে, হাজতবাসকালীন এই সময় মূল সাজা থেকে বাদ যাবে।
‘এ ক্ষেত্রে ইউনুছ আলীর রায়ে ৩৫ (ক) ধারা উল্লেখ করা ছিল না। পরবর্তী সময়ে উচ্চ আদালতে আতাউর রহমান মৃধার রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ৩৫ (ক) ধারার সুযোগটা আসামিরা পাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে আপিল বিভাগ আজ বলেছেন, হাজতকালীন সময় কারাদণ্ড ভোগের সময় থেকে বাদ যাবে। আদালত আসামি ইউনুছ আলীর হাজতকালীন সময় ও কারাদণ্ড ভোগের সময় যোগ করে যদি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ শেষ হয়ে যায়, তাহলে তাকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন।’
খুলনা গেজেট/এনএম