যশোরের ঝিকরগাছার পল্লীতে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় মা, মেয়ে ও ছেলের উপর এসিড নিক্ষেপকারী জসিম এখনো ধরা পড়েনি। তাকে ধরতে পুলিশ ও র্যাব দফায় দফায় অভিযান চালালেও সফল হয়নি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার আল্পের জন্য জসিমকে পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, সে যশোর জেলার বাইরে আত্মগোপন করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাত ৮টার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী এলাকার মঠবাড়ি গ্রামে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের জসিম দীর্ঘদিন ধরে জামাত হোসেনের মেয়ে রিপাকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে জানালা দিয়ে এসিড ছুড়ে মারে সে। এতে রিপা (২৬), তার ছোট ভাই ইয়ানূর (৮) এবং তাদের মা রাহেলা বেগম (৪২) আহত হন। ঘটনার পরই জসিম পালিয়ে যায়।
পরদিন শুক্রবার ঝিকরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই থেকেই পুলিশ ও র্যাব তাকে আটকে অভিযানে নামে। কিন্তু সফল হয়নি।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর মোহাম্মদ গাজী বলেন, আমরা সারাদিন অভিযানে ছিলাম। এমনকি বেনাপোলেও বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে। একটুর জন্য জসিম সটকে পড়েছে। তবে দ্রুতই তাকে আটক করা হবে।
র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মো. রাসেল জানান, র্যাব খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। আমরা নিশ্চিত হয়েছি, জসিম যশোর ছেড়েছে। বর্তমানে সে যেখানেই আছে, সেখানে র্যাবের একটি বিশেষ দল কাজ করছে।
এদিকে, এখনো জসিমের গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা। দ্রুত তার গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী।
অপরদিকে, এ ঘটনায় আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপি। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত যশোর জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে আহতদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি জানান, এ ঘটনা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবহিত হয়েছেন এবং তার নির্দেশে নারী ও শিশুদের জন্য গঠিত আইনি ও স্বাস্থ্য সহায়তা সেল কাজ শুরু করেছে।
অমিত বলেন, নারী ও শিশুর প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে বিএনপি সারাদেশে একটি সেল গঠন করেছে, যার নেতৃত্বে আছেন তারেক রহমান। যশোরের এই ঘটনার খবর পেয়ে আমাদের টিম ভুক্তভোগীদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছে। বিএনপি তাদের পাশে আছে এবং বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান করবে।
খুলনা গেজেট/এইচ