গেল তিন বছর ধরে জেলায় কোরবানীতে পশু সংকট চলছে। ভারতের হরিয়ানা জাতের গরু গেল ঈদে ডুমুরিয়ার শাহপুরে শেষ মুহুর্তে আমদানিতে সংকট কিছুটা কাটে। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধিজনিত কারণে এবার সে আশার গুড়ে বালি। এবারের সংকট কাটানো খুবই দুুরূহ। চাহিদা প্রায় ৭৫ হাজার পশু। এর বিপরীতে মোটা তাজা হচ্ছে ৪১ হাজার ৯শ’।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে মহানগরী, বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া , পাইকগাছা কয়রায় উত্তর অংশ, দাকোপ, রূপসা, তেরখাদা, দিঘলিয়া ও ফুলতলা গবাদি পশু মোটা তাজা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশী ডুমুরিয়া উপজেলায়।
খামারিদের সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি ষাঁড়ের খাবার হিসেবে দৈনিক তিনশ’ টাকা ব্যয় হচ্ছে। অনাবৃষ্টির কারণে কাঙ্খিত ঘাস উৎপাদন হয়নি। দানাদার খাবারের দাম বেড়েছে। করোনার কারণে উপজেলা সদরগুলোতে দানাদার খাবারের আমদানি কম।
পশু সম্পদ কর্মকর্তা বলেছেন, এবার কোরবানীর জন্য জেলায় বলদ, ষাঁড়, ছাগল ও ভেড়া সব মিলিয়ে ৪১ হাজার ৯শ’ পশু প্রস্তুত হচ্ছে। গেল কোরবানিতে ৭৫ হাজার পশু কোরবানি হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ রোবাবার পাইকগাছা উপজেলার চাদখালীতে বলদ ও ষাঁড়ের আমদানি ছিল কম। গেল সপ্তাহে শাহপুর ও খর্ণিয়ায় ফড়িয়ারা বিদেশীজাতের গরু কিনতে পারেনি। ফড়িয়াদের সূত্র তথ্য দিয়েছে করোনার কারণে ভারত থেকে হরিয়ানা জাতের গরু আসার সম্ভাবনা কম।
জেলার অতিরিক্ত প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রনজিতা চক্রবর্তী জানান, নিরাপদ মাংসের জন্য খামারিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মোটা তাজা খামার গুলোতে কোন অপদ্রব্য ব্যবহার হচ্ছেনা। সব উপজেলার খামারিদের হিসেব ও পশুর বিস্তারিত তথ্য এসে পৌছায়নি। তিনি জানান, নগরসহ নয় উপজেলায় ৪১ হাজার ৯শ পশু প্রস্তুত হচ্ছে।
বিভাগীয় প্রাণী সম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, পাশ^বর্তী জেলা থেকে ঈদের সাতদিন আগে থেকে পশু নগরীতে আসতে শুরু করবে। সংকট হবে না বলে তিনি জানিয়েছেন। এবারের পশুর হাট বসার সম্পর্কে চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। করোনা সংক্রমণের ওপর নির্ভর করছে পশুর হাটের সংখ্যা বাড়ানো কমানো হতে পারে।
অপর সূত্র জানিয়েছে, শহরতলীতে জার্সি ও ফ্রিজিয়ানা ষাঁড় মোটাতাজার সংখ্যাই বেশী।
পাইকগাছা ও কয়রায় উত্তর অংশে দেশী বলদ খামারে মোটাতাজা হচ্ছে। এ মুহুর্তে দাম সম্পর্কে খামারিরা কোন তথ্য দিতে পারেনি।
খুলনা গেজেট/ এস আই