দেশের অন্যতম শিল্প নগরী খুলনার কয়রায় ‘স্মার্ট পোস্ট সেন্টার’ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে স্মার্ট ডাক সেবার উদ্বোধন করলেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত ও সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়া। ফলে এখন থেকে ৩২৫টিরও বেশি ই-গভর্নমেন্ট সেবার পাশাপাশি নিয়মিত ডাকসেবা মিলবে এই স্মার্ট পোস্ট সেন্টার থেকে।
মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং ডাক,টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক-কে সঙ্গে নিয়ে এই সেন্টরটি উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার এবং এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সুইডেনের রাজকন্যার হাতে মুজিব ও মুক্তিযুদ্ধ বই ও একটি বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত স্বারক ডাকটিকিটের বাঁধানো পোস্টার উপহার দেন ডাক,টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। অতিথিরা এসময় স্থানীয় সেবা গ্রাহিতাদের সঙ্গে আলাপ করেন এবং কয়রা স্মার্ট পোস্ট সেন্টারের কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
স্মার্ট পোস্ট সেন্টার কয়রা এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রাথমিকভাবে ৫টি ডাকঘরকে পরীক্ষামূলকভাবে স্মার্ট পোস্ট সেন্টারে রূপান্তরের কাজ শুরু করেছি। স্মার্ট পোস্ট সেন্টার, কয়রা এই উদ্যোগের প্রথম যাত্রা। আমরা এরই ধারাবাহিকতায় সহসাই আরও ৫০০টি স্মার্ট পোস্ট সেন্টার বাস্তবায়ন করবো। এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেও জনগণ এই স্মার্ট পোস্ট সার্ভিস পয়েন্ট থেকে ব্যাকিং, এজেন্ট ব্যাকিং পরিষেবা সহ সকল ই-গভর্নমেন্ট সেবা অনায়াসে গ্রহণ করতে পারবেন; যা অর্থনৈতিক অন্তর্ভূক্তির পাশাপাশি দেশে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে অভাবনীয় ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে পার্সেল ট্র্যাকিং, বিল পেমেন্ট এবং ই-কমার্স সুবিধার মতো সুযোগ-সুবিধার আয়োজন নিয়ে এই সার্ভিস পয়েন্ট বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় অভিগম্যতা ও দক্ষতার বিপ্লব ঘটাবে।
প্রসঙ্গত, স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট (এসএসপি) উদ্যোগ, প্রথাগত ডাক পরিষেবাগুলোর সাথে ডিজিটাল সমাধানগুলোকে একীভূত করার একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা। এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশের ১০ হাজার পোস্ট অফিসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন হাবের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
খুলনা গেজেট/কেডি