ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বেনাপোল স্থলবন্দরে টানা ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে এ সময় ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা চলাচল করতে পারবেন।
বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, ‘আগামী মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেল থেকে বন্ধ হয়ে যাবে বেনাপোল-পেট্রাপোলের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি। কাস্টম ও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা নিজ নিজ বাড়িতে ঈদ করতে রওয়ানা দিবেন।
তারপর সরকার ঈদের তিন দিন আগে পরে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ রাখায় বন্দর থেকে কোন পণ্য খালাসও হবে না। অনেক আমদানিকারক ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে দেশের বাড়িতে যাবেন। তারা ঢাকা ফিরে না আসা পর্যন্ত কোনো পণ্যও খালাস নিবে না।
দু‘দেশের সিএন্ডএফ এজেন্টস ও বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে বুধবার থেকে শুক্রবার (১০, ১১. ১২ এপ্রিল), শনিবার (১৩ এপ্রিল) সাপ্তাহিক ছুটি, রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের ছুটি থাকবে।
সে কারণে সব মিলিয়ে ৫ দিন ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে বেনাপোল বন্দর। আগামী সোমবার (১৫ এপ্রিল) থেকে পুনরায় বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম সচল হবে।
এদিকে টানা ছুটির কারণে সীমান্তের দু‘পাশের বন্দরে ট্রাকজট আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। বেনাপোলের মতোই পেট্রাপোল বন্দরেও ট্রাকজট রয়েছে।
বন্দরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বন্দরের ট্রাক টার্মিনাল, পেট্রাপোল বন্দর টার্মিনালে কয়েকশ পণ্য বোঝাই ট্রাক অপেক্ষা করছে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায়। আগামী সোমবার ও মঙ্গলবার (৮ ও ৯ এপ্রিল) কিছু পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলেও দীর্ঘ ছুটির কারণে অনেক পণ্য পেট্রাপোল থেকে বেনাপোল বন্দরে ঢুকবে ছুটি শেষে।
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জান বিশ্বাস জানান, ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত। এ সময় একটু বেশি ভিড় হয়ে থাকে। সে কারণে ইমিগ্রেশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল ইসলাম জানান, আগামী মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেল থেকে ঈদের ছুটি হয়ে যাচ্ছে। ছুটিতে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৮ ও এপ্রিল ভারত থেকে পণ্য আমদানি হলে সে পণ্য আনলোড করা হবে। ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দরে যাতে কোনো ধরনের নাশকতামূলক বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যরা দিনে রাতে বন্দর এলাকায় টহল দিবে। পাশাপাশি বেনাপোল পোর্ট থানা কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি বলা হয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিল থকে বন্দরের কর্মতৎপরতা বাড়বে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত বলেন, ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দর এলাকায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ও দুর্ঘটনা না ঘটে সে জন্য বিশেষ নজরদারি নেওয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এএজে