খুলনা মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সরকারি উদাসীনতায় সময়মত উপকূলীয় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মিত না হওয়ায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে বিলীন হয়ে গেল দক্ষিণের জনপদ খুলনা-সাতক্ষীরা জেলার ৫টি উপজেলা কয়রা, পাইকগাছা, কালিগঞ্জ, শ্যামনগর ও আশাশুনির ১৬টি ইউনিয়নের লক্ষ লক্ষ মানুষের ফসল মৎস্য সম্পদ ও বাড়িঘর। বাঁধ ভেঙ্গে ও উপচে পানিতে তলিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে পানি সম্পদ মন্ত্রী, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পদ মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সরেজমিন পরিদর্শন পূর্বক দুই জেলার ৫ উপজেলার পানিবন্দি লাখো মানুষের জন্য দ্রুত মানবিক সাহায্য প্রদানের আহবান জানিয়েছেন। একই সাথে একদিকে বেড়ীবাঁধ নির্মাণ, সেই সাথে খাদ্য ওষুধ ও খাবার পানি পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করে সহায় সম্বলহীন বাস্তুহারা মানুষের পাশে থাকার জন্য সরকার ও জনগণের প্রতি আহবান জানান এবং ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করে দ্রুত ত্রাণ তৎপরতা শুরু দাবি জানান।
বিবৃতিদাতা নেতৃবৃন্দরা হলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, এড. বজলুর রহমান, এড. এস আর ফারুক, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি