সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাউনিয়ার ভাঙ্গন পয়েন্টে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিন শ্রমিকের এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের সাথে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দিনভর চেষ্টা চালিয়ে তাদরেকে উদ্ধার করতে পারেনি। এদিকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তাফা কামাল আজ বুধবার ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।
নিখোঁজ শ্রমিকরা হলেন আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের বকচর গ্রামের মনজিল গাজীর ছেলে বাবর আলি গাজী (৪৫), একই গ্রামের ফজলে সানার ছেলে শফিকুল সানা (৪৮) ও পুইজালা গ্রামের মানিক মোড়লের ছেলে আব্দুল আজিজ মোড়ল (৫০)।
প্রসঙ্গতঃ ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে কপোতাক্ষ নদের পাউবো’র বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে কুড়িকাউনিয়া এলাকায় বিশালাকৃতির খাল তৈরি হয়। গত ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে সেনা বাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে পাউবো’র নিয়োগকৃত ঠিকাদারের মাধ্যমে ভাঙ্গন পয়েন্ট মেরামতের কাজ চলছে। বিভিন্ন স্থানের শ্রমিকরা ঠিকাদারের অধীনে এই ভাঙ্গন পয়েন্ট গত আড়াই মাস ধরে কাজ করছে। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় দিকে একটি ট্রলারে করে ১২ জন শ্রমিক বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজে যাওয়ার সময় ভাটার টানে স্রোতের মুখে পড়ে ভাঙ্গন পয়েন্টে ট্রলাটি ডুবে যায়। এসময় ট্রলারটিতে থাকা ১২ জনের মধ্যে নয়জনকে তাৎক্ষনিক উদ্ধার করা সম্ভব হলেও তিনজন নিখোঁজ থাকে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও সেনা বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধারে মঙ্গলবার দিনভর অভিযান অব্যাহত রাখে।
প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন জানান, গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে তাদের কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও সেনা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি এলাকাবাসীও তাদেরকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়েছে। আজ দ্বিতীয় দফায় নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধার অভিযান চালানো হবে। ঘটনা শুনে এবং নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধার অভিযান দেখতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তাফা কামাল আজ বুধবার ঘটনাস্থল কুড়িকাউনিয়ায় আসছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম