বাজারে ভারতীয় চালের আমদানি নেই। এ সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী চালের দাম বৃদ্ধি করে চলেছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম মানভেদে দুই থেকে চার টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ভোজ্য তেলের পর চালের মূল্য বৃদ্ধি অসহনীয় করে তুলেছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের জীবনযাত্রাকে।
বর্তমানে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এ সময় অনেকের আয় কমে গেছে। আবার অনেকের আয় নেই বললেই চলে। এমন পরিস্থিতিতে চালের মূল্য বৃদ্ধি যেন মাথায় বাজ পড়ার মতো।
মিল পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি লোকাল ২৮ সেদ্ধ চাল (৫০ কেজির) প্রতি বস্তা ২ হাজার ৩৭৫ টাকা বিক্রি করছে। যা গত সপ্তাহে ২ হাজার ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
খুলনার লবনচরা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মুহাঃ মুস্তফা কামাল খুলনা গেজেটকে জানান, এখন বোরো মৌসুম। খরার মধ্যে কিছুটা ক্ষতি হলেও এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। হাট পর্যায়ে ধানের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক সপ্তাহ আগে থেকে ধানের দাম বেড়েছে। আজ তাকে প্রতি মণ দেড়শ’ টাকা বেশী দরে কিনতে হয়েছে। সরকার মাঠ পর্যায় থেকে ধান ক্রয় করছে বলে দাম এত বেশী। সামনে আরো বাড়বে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, মিলের উৎপাদিত প্রতি কেজি চাল ৪৬ টাকা পঞ্চাশ পয়সায় বাজারের পাইকারি ঘর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ঘর মালিকেরা যদি বেশী দরে বিক্রি করে তাহলে এর দায় দায়িত্ব তাদের।
তিনি আরও বলেন, ‘কৃষকরা ধান মজুদ করে রেখে দিচ্ছে। যৎসামান্য পাওয়া যাচ্ছে।’
অথচ খুলনার কয়েকটি মিল ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে হাজার হাজার মণ ধান মজুদ করে রাখা হয়েছে। চালের দাম বৃদ্ধি পেতে থাকলে সেগুলো ধাপে ধাপে মাড়াই করে বিক্রি করা হবে বলে জানা গেছে।
বড় বাজারের পাইকারি আড়তদার কুন্ডুও জানান, দুই মাস যাবত ভারতীয় চালের আমদানি বন্ধ। চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মিল মালিকেরা অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের জন্য কম দামে ধান ক্রয় করে মজুদ করে রেখে পরে অধিক দরে বিক্রি করবে।
নগরীর দোলখোলা মোড়ের চাল ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম জানান, চালের দাম প্রতি কেজিতে মানভেদে দুই থেকে চার টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। তার দোকানে মিনিকেট সরুটা ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ইরি ২৮ বালাম ৫০ টাকা, স্বর্ণাবালাম ৫০ টাকা, পরশবালাম ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাঁশমতি ও নাজিরশাল পূর্বের দর যথাক্রমে ৬৮ এবং ৬৫ টাকায় বিক্রি করছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম