আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যশোরের কেশবপুরে তেঘরী গ্রামে প্রতিপক্ষরা একটি বিরোধীয় মাছের ঘেরে জোরপূর্বক টংঘরের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ সরেজমিনে গিয়ে এর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার তেঘরী গ্রামের মৃত তফেজ মোড়লের ছেলে ইনছার আলীগংদের সাথে একই গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম মোড়লের ছেলে আব্দুল বারীগংদের পৈত্রিক ৯৫ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ওই জমিতে ইনছার আলীগংরা মাছের ঘেরসহ চাষাবাদ করে আসছেন। আব্দুল বারীগংরা বিভিন্ন সময়ে ওই জমি জবর দখলের হুমকি দেয়ায় গত ১ মার্চ ইনছার আলীগং বাদি হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত মাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে ১৪৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- পি-৫৩০/২১। শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কায় আদালত ওই জমির ওপর উভয়পক্ষের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়ে এ মামলার পরবর্তী দিন আগামী ২১ জুন ধার্য করে।
আদালতের নির্দেশে গত ১ এপ্রিল কেশবপুর থানার এএসআই মনিরুজ্জামান বিরোধীয় জমির ওপর উভয়পক্ষের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়ে আব্দুল বারীগংদের নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু আব্দুল বারীগং আদালতের এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ১৮ এপ্রিল সকাল থেকে বিরোধীয় জমির মাছের ঘেরের টংঘর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। খবর পেয়ে কেশবপুর থানার এসআই তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে এর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
এ ব্যাপারে আব্দুল বারী জানান, তারা ওই জমি পৈত্রিক সূত্রে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছেন। গত মাঠ জরিপের সময় ওই জমির হাল রেকর্ড তাদের নামে হয়। এ কারণে তারা জমি দাবি করে আমাদের হয়রানি করায় ১৯৯৫ সালে আদালত ওই জমিতে প্রতিপক্ষের প্রবেশে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আদেশ দেয়। গত ২২/১০/২০ তারিখে তারা আদালতে সানি মামলা করলেও কোন কাজগপত্র দেখাতে না পারায় তা খারিজ হয়ে যায়।
কেশবপুর থানার এসআই তরিকুল ইসলাম বলেন, ঘেরের পাড়ে টংঘর নির্মাণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গের কোন সুযোগ নেই।
খুলনা গেজেট/ এস আই