মো: আছলাম উদ্দিন হত্যা মামলার আসামি হাবিবা কণাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ৬ যশোরের অভিযানিক দল। ১৫ ফেব্রুয়ারি তাকে যশোরের অভয়নগর উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া আসামি নিহত আসলামের স্ত্রী। তাকে দীর্ঘ ৩ বছর পরে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৫ জুলাৈই ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন পোস্তগোলা ব্রীজের নিকট বুড়িগঙ্গা নদী হতে বস্তাবন্দি অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। উদ্ধার হওয়া লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে তার পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ। আত্মীয় স্বজন বা পরিচয় না পওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে। পরে ডিএনএ টেষ্টের মাধ্যমে নিহত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ। নিহত ব্যক্তি যশোরের চৌগাছা উপজেলার নান্নু মিয়ার ছেলে আসলাম উদ্দিন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও গোয়েন্দা তদন্তের মাধ্যমে জানতে পারে নিহত ব্যক্তির স্ত্রী কণা ও তার দ্বিতীয় স্বামী মো: ডালিম পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আসলামকে। পরে তার লাশ গুম করার জন্য বস্তাবন্দি করে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয় তারা।
জানা গেছে, একাধিক বিয়ের অধিকারীনি কণা একাধিক বিয়ের মাধ্যমে স্বামীদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাত করত। অর্থ আত্নসাৎ ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আসামীদ্বয় এই হত্যাকান্ড ঘটায় এবং আলামত গোপন করার জন্য মৃতদেহ বস্তায় ঢুকিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়। কণা দীর্ঘদিন নওয়াপাড়া পলতক ছিলেন। গ্রেপ্তার কণাকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড