অভয়নগরের ৫ লাখ মানুষের চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য একমাত্র কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনের বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। ওই ভবনের সিলিং খসে খসে পড়ছে। আর সেই ভবনে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। কোন সময়ে ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। যা আশংকা করছেন এলাকার সচেতন মহল।
বুধবার বার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের প্রবেশদ্বারের সিলিং এ বড় ধরণের ফাটল দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বড় একটি অংশ ভেঙ্গে পড়েছে । তাছাড়া দ্বিতীয় তলার সিড়ি সংলগ্ন, পুরুষ, মহিলা ওয়ার্ড ও স্টাফ রুমের সিলিং প্রতিদিন খসে খসে পড়ছে। সবচেয়ে ঝুকিপুর্ন নারী ও শিশু ওয়ার্ডের সিলিং এর অবস্থা। উপরে ভাঙ্গাচোরা ছাদ নিচে নারী শিশুদেরকে রেখে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা। কর্তৃপক্ষ সতর্কতা অবলম্বনে একটি সিট খালি রেখেছে।
পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি গুয়োখোলা এলাকার আঃ খালেক জানান, দুপুরে ভাত খাওয়ার সময় হঠাৎ উপর থেকে বড় একটি ভাঙ্গা টুকরা প্লেটের উপর খসে পড়েছে। অল্পের জন্য বড় দূর্ঘটনা ঘটেনি।
মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি রওশান আরা জানান, সেদিন রাতে মাথার উপরে সিলিং খসে পড়েছে ফলে গুরুতর আহত হয়েছি।
ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন নার্স জানান, স্টাফ রুমের সিলিং ভেঙ্গে আমি নিজে সেদিন আহত হয়েছি। এভাবে চলতে থাকলে যেকোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিনিয়ত বাড়ছে রোগীর সংখ্যা, মাত্র ৫০ বেডে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে। এমতাবস্থায় ৫০ বেডের এই হাসপাতালের বেড বাড়ানোর জোর দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল। বিশেষ করে যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
রাণী মন্ডল নামে একজন রোগী জানান, হাসপাতালে বেড না পেয়ে গত ২দিন ধরে ফ্লোরে রয়েছি।
এ ব্যপারে জানতে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আলিমুর রাজিবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের এই হাসপাতালে সবসময় ১শ’ এর কাছাকাছি রোগী ভর্তি থাকে ফলে সবাইকে সব সময় সিট দেওয়া সম্ভব হয়না।
হাসপাতালের বেহাল দশার বিষয়ে জানতে চাইলে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, পুরাতন ভবনের বেহাল দশার বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েছি। সু-দৃষ্টি দিলে সব সমস্যার সমাধান হবে।
খুলনা গেজেট/এসজেড