যশোরের অভয়নগরে খাদ্যঅধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের সোনাতলা বাজারে বিশ্বাস স্টোরে (ডিলার-দিপংকর বিশ্বাস) এ ঘটনা ঘটে। ৩০ কেজি চাল কিনলে দেওয়া হচ্ছে ২৬ কেজি। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মীনা খানম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ১০ টাকা কেজি দরের চাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বিক্রি শুরু করা হয়। উক্ত ইউনিয়নে পাঁচজন ডিলারের মধ্যে সোনাতলা বাজারে বিশ্বাস স্টোর, যার প্রোপ্রাইটর দিপংকর বিশ্বাস, তিনি ৩০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রির একজন ডিলার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সোনাতলা বাজারের মাজেদ সরদারের ছেলে জাহাঙ্গীর সরদার, জিয়ালতলা গ্রামের মুনসুর মিনার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, একই গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে কাজী আবুল কালাম, মোজাহের তরফদারের ছেলে মিন্টু তরফদার সহ প্রায় ১০ থেকে ১৫জন সুবিধাভোগী চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ করেন। এসময় তাদের ক্রয়কৃত চাল ডিজিটাল স্কেলে ওজন করা হলে প্রায় চার কেজি পরিমান চাল কম পাওয়া যায়। দুপুরের পর স্থানীয় গ্রামবাসীর বিক্ষোভে ডিলার তার ঘর বন্ধ করে অন্যত্র চলে যায়।
আনোয়ারা বেগম বলেন, ধার করা টাকা দিয়ে চাল কিনতে এসে ওজনে কম পেলাম। দিপংকরকে জানালে সে হুমকি দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই চাল চোরের বিচার দাবি করছি।
মিন্টু তরফদার বলেন, দুপুরে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল কিনেছি। সেই চাল ডিজিটাল স্কেলে মাপা হলে প্রায় সাড়ে তিন কেজি পরিমান চাল কম পাওয়া যায়। আমি চাল চোরের বিচার দাবি করছি। উপস্থিত সকল সুবিধাভোগীদের একই ধরণের অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে ডিলার দিপংকর বিশ্বাস মুঠোফোনে জানান, ১৪ হাজার ৩৭০ কেজি চাল ৪৭৯ জন কার্ডধারীর মাঝে বিক্রি করার নির্দেশ রয়েছে। আমি ওজনে কম দেয়নি। তবে একশত গ্রাম করে চাল কম দেওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন।
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মহসিন শেখ জানান, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া হতদরিদ্রদের চাল ওজনে কম দেওয়া যাবে না। ডিলার দিপংকরের বিচার হওয়া উচিৎ।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মীনা খানম জানান, সংবাদ পাওয়া মাত্র আমি নিজেই ঘটনাস্থলে এসেছি। ডিলার কর্তৃক চাল ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই