যশোরের অভয়নগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের গুদাম থেকে সরকারি বই লোপাটের ঘটনায় তদন্তে আসেন জেলা শিক্ষা অফিসার একেএম গোলাম আযম। বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কার্যালয়ে এসে বিকাল পর্যন্ত গুদাম থেকে সরকারি বই লোপাটের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেন।
এসময় শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারি শোকজ করা হুসাইন মোঃ খালিদ ইবনে মহিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর যে ভ্যানে বই লোপাট করা হয়েছিল, সে ভ্যান চালক মফিজ উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার হুসাইন মোঃ খালিদ ইবনে মহিকে শোকজের চিঠি দেয়া হয়। এরপর বই লোপাটের ঘটনায় একটি তিন বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয় । কমিটিতে ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার আশিকুর জামান, নওয়াপাড়া শংকরপাশা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম, নওয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন। তিনদিনের মধ্যে হুসাইন মোঃ খালিদ ইবনে মহিকে শোকজের লিখিত জবাব দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত মাসের শেষের দিকে রোববার সন্ধ্যায় অভয়নগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের গুদাম হতে অফিস সহকারি হুসাইন মোঃ খালিদ ইবনে মহির মাধ্যমে ২০২২ শিক্ষা বর্ষের নবম শ্রেণির ৩১৮ পিস বই গোপনে বিক্রি করে দেয়। বই নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ভ্যান বোঝাই বইসহ ধরে ফেলে। পরে ঘটনাটি নিয়ে ৪/৫ ঘন্টার নাটকিয়তার পর একটি জিডি করে অভয়নগর থানা হেফাজতে বইগুলো রাখা হয়। শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সরকারি বই লোপাটের ঘটনায় তদন্ত করতে এসেছে তদন্ত করে তিনি ব্যবস্থা নিবেন। যশোর জেলা শিক্ষা অফিসার একেএম গোলাম আযম বলেন, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষর নির্দেশে সরেজমিনে বই চুরির ঘটনায় তদন্ত করতে এসেছি। সবাইকে এক এক করে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যে তদন্ত করেছি তার প্রতিবেদন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষর কাছে জমা দেব।