যশোরের অভয়নগরে নুরুন্নাহার নামে পল্লী বিদ্যুতের এক গ্রাহকের পরিশোধ করা বিদ্যুৎ বিলের ১০০ ইউনিট তার নতুন বিলে যুক্ত করা হয়েছে। নতুন বিল হাতে পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ওই নারী গ্রাহক। নুরুন্নাহার উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের প্রফেসরপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাসের স্ত্রী।
হয়রানির শিকার নুরুন্নাহার জানান, তাঁর মিটার নং- ৩৮০১২৮, যার হিসাব নং- ৬২Ñ১৩৩৭। সেই হিসেবে গত মে মাসের বিদ্যুৎ বিলে রিডিং ছিল ৩১,০৪৫ ইউনিট। জুন মাসের বিলে মিটার রিডিং ছিল ৩১,৪১৫ ইউনিট। ব্যবহৃত ৩৭০ ইউনিটের বিল তিনি পরিশোধ করেছেন। পরবর্তীতে জুলাই মাসের নতুন বিদ্যুৎ বিলে পূর্ববর্তী জুন মাসের মিটার রিডিং দেখানো হয়েছে ৩১,৩১৫ ইউনিট।
তিনি আরও জানান, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ৩১,৪১৫ ইউনিটের স্থালে ৩১,৩১৫ ইউনিট দেখিয়ে আমার মত এক নারী গ্রাহকের নিকট হতে অতিরিক্ত ১০০ ইউনিটের টাকা আদায়ের চেষ্টা করছে। এর থেকে পরিত্রাণ চাই।
ভুক্তভোগী অসংখ্য গ্রাহকের অভিযোগ, যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২, নওয়াপাড়া জোনাল অফিস কর্তৃক বিভ্রান্তিকর বিদ্যুৎ বিল সাধারণ গ্রাহককে প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনায় ফেলছে। পূর্বের মিটার রিডিং কমিয়ে তারা নতুন বিলে অতিরিক্ত ইউনিট যুক্ত করছে। ফলে সাধারণ গ্রাহক তার পূর্বের বিল না দেখে নতুন বিল পরিশোধ করে প্রতারণার শিকার হচ্ছে। এছাড়া বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানে না গিয়ে তারা অফিসে বসে রিডিং নির্ধারণ করছে। এ প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এ ব্যাপারে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর নওয়াপাড়া জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আব্দুল্লাহ আল মামুন মুঠোফোনে জানান, বিল না দেখে কিছু বলা যাবে না। ভুক্তভোগী গ্রাহক তার বিল নিয়ে অফিসে আসলে সমস্যার সমাধান করা হবে।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদুল