খুলনা, বাংলাদেশ | ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  নতুন বিশ্ব গড়ার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে : চবি’র সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টা
  চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির হৃদপিন্ড, চট্টগ্রাম বন্দরকে সত্যিকার বন্দরে পরিণত করার কাজ চলছে : প্রধান উপদেষ্টা
  ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার ঘটনার রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার ৩

অভয়নগরে খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা

অভয়নগর প্রতিনিধি

যশোরের যশ খেজুরের রস। যশোরের অভয়নগর উপজেলায় প্রায় প্রতিটি গ্রামের ঘরে ঘরে শুরু হবে গুড় পাটালির উৎসব, বাড়িতে বাড়িতে চলবে খেজুরের রস জ্বালিয়ে পিঠা পায়েস সহ হরেক রকমের খাবারের ধুম। মৌসুম শুরু হতে না হতেই গাছিরা দড়ি, দা, ঠুঙ্গি সহ গাছ তোলার প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে গাছ তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

রস সংগ্রহের পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে খেজুর গাছের আগায় তোলা দেওয়ার কাজ চলছে। গাছি দা দিয়ে খেজুর গাছের মাথার সোনালি অংশ বের করা হয়। যাকে যশোরের ভাষায় বলা হয় গাছ তোলা।নবান্নের শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। তাই প্রতি বছরের মতো যশোরের অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় আট শতাধিক গাছীরা গাছতোলা শুরু করেছেন।

৮ থেকে ১৪ দিন পর নোলন স্থাপনের মাধ্যমে শুরু হবে সুস্বাদু খেজুর রস আহরণের মূল কাজ। এর কিছু দিন পরই গাছে দেওয়া হবে মাটির পাতিল। সংগ্রহ করা হবে মিষ্টি খেজুরের রস। যশোর জেলার খেজুরের রস ,গুড় পাটালির জন্য বিখ্যাত হওয়ায় গর্ববোধ করে স্থানীয়রা।এই মৌসুমে খেজুরের রস দিয়ে গ্রামিন জনপদে শুরু হয় শীতের আমেজ। শীত যত বাড়বে ,খেজুর রসের মিষ্টি ও ততো বাড়বে। শীতের সবচেয়ে বড় আকর্ষন দিনের শুরুতে খেজুরের রস, সন্ধার রস ও খেজুরের গুড় পাটালি। পিঠা ও পায়েস তৈরিতে আবহমান কাল থেকে খেজুরের গুড় অতপ্রত ভাবে জড়িতো।

উপজেলার সিদ্ধিপাশা গ্রামের তৈবুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে খেজুরের রস সংগ্রহ করি। আমাদের যশোরের খেজুরের রস খুব নাম করা। শহর থেকে আমার রস ও গুড় কিনতে অনেক মানুষ ছুটে আসে। এতে করে আমার অনেক লাভ হয়। একই গ্রামের নজরুল ঢালী বলেন, গত বছর আমি ৩০০ খেজুরের গাছ কেটে ছিলাম। অনেক লাভ হয়েছিলো আমার। এই জন্য এই বছর আরো বেশি গাছ কাটবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. লাভলী খাতুন বলেন, এ উপজেলায় ৩৩ হাজার রস আহরণ কারি খেজুরের গাছ রয়েছে,যা থেকে প্রায় ৪০০ মেট্রিক টন গুড় উৎপাদন হবে।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!