অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়েছেন খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদসহ ৭ আসামি। বুধবার দুপুরে খুলনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুনন্দা বাগচী তাদের জামিন দেন।
জামিন পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন এজাজ আহমেদের চাচাতো ভাই রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামান, গাজী আবদুল হক, আল আমিন গাজী, আক্তারুল আলম, সাদ্দাম গাজী ও মো. ইমরান হোসাইন।
গত ২৭ জানুয়ারি রাতে ধর্ষষের অভিযোগ নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন ডুমুরিয়া উপজেলার এক তরুণী। পরদিন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর তাকে অপহরণ করা হয়। রাত ১১টায় তাকে সোনাডাঙ্গা থানায় ফিরে অভিযোগ অস্বীকার করেন ওই নারী।
এ ঘটনার প্রায় দেড় মাস পর গত ৬ মার্চ ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন ওই তরুণীর মামাতো ভাই গোলাম রসুল সরদার। আদালত মামলাটি গ্রহণের জন্য ডুমুরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। ৭ মার্চ মামলাটি থানায় নথিভুক্ত হয়। গত ৮ মার্চ আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন ভুক্তভোগী তরুণী।
উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আসামি পক্ষের আইনজীবী এম এম মুজিবুর রহমান জানান, আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ওই তরুণী বলেছেন, তাকে কেউ অপহরণ বা ধর্ষণ করেনি। তার হয়ে যিনি মামলা করেছেন ওই ব্যক্তিকে ভুক্তভোগী চিনেন না। তরুণীর মাও একই বক্তব্য দিয়েছেন। এরপরে জামিন না দেওয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না।
মামলার বাদি পক্ষে আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
খুলনা গেজেট/কেডি