গত ৯ দিন পার হলেও এখনও সন্ধান মেলেনি দৌলতপুর মহেশ^রপাশা বণিকপাড়ার গৃহবধু রহিমা খাতুনের। খোঁজ না পেয়ে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় কাটছে তার পরিবারের সদস্যদের। তবে এ ঘটনায় পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ৪ জনকে আটক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
আটক হওয়া সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা হলেন, দৌলতপুর মহেশ^রপশা বণিকপাড়া এলাকা থেকে গোলাম কিবরিয়, মহিউদ্দিন, পলাশ ও জুয়েল।
দৌলতপুর থানার পুলিশ জানায়, রোববার রাতে নগরীর দৌলতপুর মহেশ^রপাশা বাণিকপাড়া থেকে র্যাব ৬ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মহিউদ্দিন ও পলাশকে আটক করে। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া ও জুয়েলকে আটক করে।
থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নজরুল ইসলাম বলেন, র্যাবের হাতে আটক হওয়া দ’জনকে রাতে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে কিছু তথ্য বের করা হয়েছে। তবে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ ৭ দিেেনর রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাদী মামলার এজাহারে সন্দেহভাজন এদের ৪ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। তবে এ ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
নিখোঁজ রহিমা খাতুনের মেয়ে মরিয়ম বলেন, আশ্চার্য ঘটনা একটা মানুষ অদৃশ্য হয়ে গেল। এখনও তার খোাঁজ মেলেনি এ ব্যাপার নিয়ে তিনি বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন। তবে মা’কে নিয়ে তিনি বেশ উদ্বিগ্ন। এ নিয়ে তিনি ও তার পরিবার বেশ চিন্তিত। তিনি জানান, রহিমা খাতুন ফৌজদারী মামলার বাদী ছিলেন। মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য আসামিরা বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিত। এমকি তারা আমাদের ঘর বাড়ি ভাংচুর করে আসামিরা। ভাংচুরের দিন আমার মাকে আসামিরা মারধর করে। যাদের পুলিশ ও র্যাব আটক করেছে তারা আমাদের প্রতিবেশী। এদের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করা হয়েছিল। তবে এদের একজন সহযোগী রয়েছেন তার নাম হেলাল শরীফ। তাকে এখনও আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এদের সকলকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার মায়ের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি তার ময়ের সন্ধান চান যে কোন উপায়ে।
উল্লেখ্য ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০ টার দিকে পানি আনতে বাড়ি থেকে নিচে নামেন রাহিমা খাতুন। ঘন্টা পর হলেও তিনি বাসায় ফিরে আসেনি। পরে মায়ের খোঁজে সন্তানরা নিচে নেমে মায়ের ব্যবহৃত স্যান্ডেল , গায়ের ওড়না ও কলস রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। রাতে সম্ভাব্য সকল স্থানে সন্ধান নেওয়ার পর তাকে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী ও পরে থানায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।