আন্তর্জাতিক বাজার ও নানা অজুহাতে দেখিয়ে গত আটমাসে প্রতি সিলিন্ডার এলপি গ্যাসের দাম বেড়েছে পাঁচশ’ টাকা। বর্তমানে ১২ কেজির বোতল ১৩৯১ টাকায় বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের যখন উর্ধ্বগতি ঠিক তখনই গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের।
গেল বছরের জুন মাসে ১২ কেজির গ্যাসের বোতল বিক্রি করা হয়েছে ৮৯১ টাকায়। আট মাসের মাথায় এসে তার দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৯১ টাকা। দাম বৃদ্ধির আগাম খবর জেনে অনেক ব্যবসায়ী আগের দামে বোতল স্টক করে রেখেছে।
খুলনা এলপিজি দোকান মালিক সমিতির সভাপতি শেখ মো: তোবারেক হোসেন তপু বলেন, গ্যাসের দাম বিদ্ধি পেয়েছে। একলাফে তা ১৫১ টাকা বেড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানীর মার্কেটিং অফিসাররা দাম বৃদ্ধির আগাম শুনান দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা সরকারি গ্যাস। সরবরাহের কারণে সেটি মার্কেটে নেই। সরকারি গ্যাসের স্থান দখল করেছে বেসরকারি কোম্পানী। আর তাদের দাপটে একের পর এক গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
নগরীর পশ্চিম বানিয়া খামার এলাকার গ্যাস বিক্রেতা রুহুল আমিন বলেন, গ্যাসের দাম এমনিতো বাড়তি ছিল। তারপর ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে এ পণ্যের ওপর। বিশ্ব বাজারে তেল ও ডলারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া গ্যাস উৎপাদনের প্রধান ক্রুড তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য গ্যাসের দামও বেড়েছে। গত তিনমাসে চারবার গ্যাসের দাম বেড়েছে। জানুয়ারিতে বেড়েছে ২০ টাকা। ফেব্রুয়ারিতে এসে বেড়েছে ৫০ টাকা আর মার্চ মাসে একলাফে বেড়েছে ১৫১ টাকা।
নগরীর মডার্ণ মোড়ে আনাম স্টোরে গ্যাস কিনতে এসেছিলেন বাইতিপাড়া এলাকার বসিন্দা বাবু। তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণার আগে দোকান মালিকরা এর মূল্যবৃদ্ধি করেছে। তেলের পর গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি আমাদের মতো মধ্য আয়ের মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে। দিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই