খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালীর অনুপ্রেরণা, উৎসাহ ও শক্তি যোগায়। বঙ্গবন্ধুর ভাষণে বাঙালি তাদের অধিকার ফিরে পেয়েছিলো। তিনি আরো বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদের কোন সীমারেখা বা ভৌগলিক অবস্থান ছিলো না। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মধ্য দিয়ে বাঙালি তাদের সেই অধিকার ফিরে পেয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বিশ্বের মানচিত্রে বাঙালি জাতি বাংলাদেশ নামে একটি দেশের অবস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলো।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এই ভাষণে বাঙালী জাতি তাদের অধিকার আদায়ের সকল নির্দেশনা পেয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলো। তাঁর ভাষণের কারণে বঙ্গবন্ধুকে বিছিন্নতাবাদী নেতা বলতে পারেনি। তাঁর এই ভাষণের মর্মার্থ বুঝতে পেরে আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দরা বাংলাদেশের মুক্তির আন্দোলনকে বিছিন্নতাবাদি আন্দোলন না বলে গণতান্ত্রিক মুক্তির আন্দোলন বলে সমর্থন করেছিলেন। যে কারনে বাঙালিরা মাত্র ৯ মাসে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে সমর্থ হয়েছিলো। তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর মত দৃঢ় সৎ নেতৃত্ব এবং আদর্শবান মানুষের পদাঙ্ক অনুসারণ করে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে হবে।
রোববার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ জাতীয় দিবসের মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এডিএ বাবুল রানা, মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাচ্চু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যা. রুনু ইকবাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোশারফ হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, কাউন্সিলর ফকির সাইফুল ইসলাম, এ্যাড. একেএম শাহজাহান কচি, রনজিত কুমার ঘোষ, শফিকুর রহমান পলাশ, এসএম আসাদুজ্জামান রাসেল।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, এ্যাড. রজব আলী সরদার, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, শেখ আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, কামরুল ইসলাম বাবলু, বিরেন্দ্র নাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, শেখ নুর মোহাম্মদ, এ্যাড. সরদার আনিসুর রহমান পপলু, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, এস এম আকিল উদ্দিন, এ্যাড. আব্দুল লতিফ, কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, কাউন্সিলর মেমরী সুফিয়া রহমান সুনু, মোতালেব হোসেন মিয়া, মল্লিক নওশের আলী, মোস্তাক আহমেদ টুটুল, মোক্তার হোসেন, তোতা মিয়া ব্যাপারী, আকবর হোসেন, মো. জাহিদুল হক, আব্দুল হাই পলাশ, শেখ আব্দুল আজিজ, এ্যাড. শামীম মোশারফ, এমরানুল হক বাবু, আতাউর রহমান সিকদার রাজু, আজম খান, মীর মো. লিটন, ওহিদুল ইসলাম পলাশ, মো. সিহাব উদ্দিন, হাফিজুর রহমান হাফিজ, কবির পাঠান, শেখ আব্দুল কাদের, মো. শহিদুল হাসান, নুর জাহান রুমি, জহির আব্বাস, মাহমুদুল ইসলাম সুজন, ইবনুল হাসান, মাহমুদুর রহমান রাজেস, সংকর কুন্ডু, এম এ হোসেন সবুজ সহ দলের বিবিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও খুলনা বেতারে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এছাড়া দিন ব্যাপি মহানগর কার্যালয় সহ সকল ওয়ার্ডে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার করা হয়।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি