খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দশতলা বিশিষ্ট জয়বাংলা একাডেমিক ভবনের (চতুর্থ একাডেমিক ভবন) পাইলিং কাজের উদ্বোধন করা হয় আজ বৃহস্পতিবার সকালে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কাজের উদ্বোধন করেন।
এর প্রাক্কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এই দআকাশ ছোঁয়া ভবনের সকল প্রকার কাজ গুণগতমান ঠিক রেখে ত্রুটিমুক্তভাবে নির্মাণে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি নির্দেশনা দেন। তিনি দবলেন, এই ভবনটি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগান ‘জয়বাংলা’ কে ধারণ করে থাকবে যা আমাদের প্রেরণা যোগাবে। ভবনটি নির্মাণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক জায়গার সংকট বহুলাংশে নিরসন হবে এবং নতুন নতুন সাবজেক্ট খোলা সম্ভব হবে।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ। আরও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. উত্তম কুমার মজুমদার। সূচনা বক্তব্যে ভবনটির বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। এসময় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুসসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের প্রাক্কালে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি আব্দুল কুদ্দুস। পরে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারের উপস্থিতিতে পাইলিং কাজ শুরু হয়। অতিথিবৃন্দ কিছু সময় তা প্রত্যক্ষ করেন।
ভবনটি নির্মাণের চুক্তিমূল্য ৬২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। ৮ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় এই ভবনটি ১৪২ ফুট গভীরতার ২৮৮টি পাইলিংয়ের পর নির্মিত ভিতের ওপর দাঁড়াবে। ভবনের মোট আয়তন দুই লাখ বর্গফুটের বেশি। প্রত্যেক তলায় ১৯ হাজার বর্গফুটের বেশি জায়গা থাকবে। ৪টি লিফট, স্বতন্ত্র বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার, পানি সরবরাহে সেন্ট্রাল সাপ্লাই ছাড়াও ২টি সাবমারসিবল গভীর নলকূপের ব্যবস্থা রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম