খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ পৌষ, ১৪৩১ | ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  নিখোঁজের ৪২ ঘণ্টা পর কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী নদী থেকে দুই পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার
  ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে চাপা দেওয়া ট্রাকচালক আটক
  সচিবালয়ের আগুন সোয়া ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস

১৭ বছরে কুয়েট

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ ১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পালিত হবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। ভৈরব-রূপসা বিধৌত এ বিদ্যাপীঠে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রতিবছর জাকজমকপূর্ণভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করলেও করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে এ বছর সংক্ষিপ্ত  কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে রয়েছে, পতাকা উত্তোলন ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্বোধন, বৃক্ষ রোপন, মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, কুয়েটের অর্জন : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত-প্রেজেন্টেশন (ZOOM এর মাধ্যমে), আলোচনা সভা (ZOOM এর মাধ্যমে) ও দোয়া মাহফিল। এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা লাভ করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)। এ বছর ১৭তম বর্ষপূর্ণ করছে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় সকলের সহযোগিতা কামনা করে দিবসটি পালনের অনুষ্ঠানে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

খুলনা শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার উত্তরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশেই ফুলবাড়ীগেট এলাকায় ১০১ একর এলাকা নিয়ে মনোরম পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের জন্য ভৌত অবকাঠামো, লাইব্রেরি ভবন, আধুনিক ল্যাবরেটরি ও কম্পিউটার সেন্টার, ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হল, স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার, ক্যাফেটেরিয়া, খেলার মাঠ, পুকুর, মেডিকেল সেন্টার, মসজিদ ইত্যাদি বিদ্যমান। বর্তমানে তিনটি অনুষদের অধীনে ২০টি বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এই বিশ্ববিদ্যায়ে পাঁচ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।

এছাড়া সাড়ে তিন শতাধিক শিক্ষক, দেড়শতাধিক কর্মকর্তা এবং তিনশতাধিক কর্মচারী দিয়ে চলছে কুয়েটের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্র্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্লানিং, বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার, ম্যাটেরিয়ালস্ সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, এনার্জি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত ও মানবিক বিভাগের কার্যক্রম রয়েছে। রয়েছে তিনটি ইনস্টিটিউট। অদুর ভবিষ্যতে বাড়বে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন, বিভাগ ও লোকবল। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভিন্নভাবে ঐতিহ্য বহন করছে। এটি ১৯৬৭ সালে খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৭৪ সালে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে, অনেক ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও খুলনাবাসীর ধারাবাহিক সংগ্রামের মধ্যদিয়ে ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি), খুলনা। এটি একটি স্বায়ত্বশাসিত ডিগ্রি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হলেও বিভিন্ন সমস্যা এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধা থাকার কারণে সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশের আরো তিনটি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিসহ এই প্রতিষ্ঠান ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। যাত্রা শুরু হয় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের।

 

খুলনা গেজেট/এআইএন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!