ব্যাটিং বিপর্যয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তানকে ১০৯ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশের ইনিংসে ডট বল ছিল ৫৭টি।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ম্যাচের প্রথম ওভারেই শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে গোল্ডেন ডাকের শিকার হন নতুন ওপেনার সাইফ হাসান। দ্বিতীয় ওভারে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন নাঈম শেখ। তিনি করেন ৮ বলে ২ রান।
চারে নামেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। নিজের প্রথম বলেই শাহীনকে ছক্কা হাঁকান তিনি। পরের বলেই বোলার শাহীনের করা থ্রো লাগে আফিফের পায়ে। ব্যথা পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আফিফ, নেন প্রাথমিক চিকিৎসা। কিছুক্ষণ পরই আবার ব্যাট করতে উঠে দাঁড়ান এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আফিফ ও শান্তর দৃঢ়তায় পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেটে ৩৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ভালো ব্যাট করতে থাকা আফিফ রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ভুল করে বসেন এবং শাদাবের বলে উইকেটরক্ষককে সহজ ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন। আফিফের ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ২০ রান। শান্তর সাথে ৪৫ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি।
চতুর্থ উইকেটে শান্তর সাথে ২৮ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অধিনায়কের ব্যাট থেকে এক বাউন্ডারিতে আসে ১৪ বলে ১২ রান। পরের ওভারেই বিদায় নেন লড়াই করতে থাকা শান্ত। পাঁচটি দৃষ্টিনন্দন চারের সুবাদে ৩৪ বলে ৪০ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৮২ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচে দারুণ ব্যাট করা শেখ মেহেদী হাসান আজ হতাশ করেন। ৮ বলে ৩ রান করে বোলার মোহাম্মদ নওয়াজের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তারপরেই বাংলাদেশের রানের গতি অনেক কমে যায়। নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ৭ উইকেটে ১০৮ রান।
পাকিস্তানের পক্ষে শাহীন ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ও শাদাব ৪ ওভারে ২২ দিয়ে দুইটি করে উইকেট পান। ২৫ রান খরচ করে একটি উইকেট পান নওয়াজ।