খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরের নতুন রাস্তায় ৮ দশমিক ৩২ একর জমির ওপর অবস্থিত আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার। খামারটিতে বর্তমানে প্রায় ৪ হাজার হাঁস রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের হাঁস খামারীদের উদ্বুদ্ধ করতে সরকারি নিয়মে খামারীদের মাত্র ২০ টাকায় হাঁসের বাচ্চা দেওয়া হয়। কিন্তু খামারের সীমানার মাত্র বিশ ফুট দূরত্বে একই জাতের হাঁসের বাচ্চা বিক্রি হয় ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালীরা সরকারি খামার থেকে কম টাকায় হাঁসের বাচ্চা কিনে সেটা সরকারি প্রতিষ্ঠানের সামনেই বেশি দামে সিন্ডিকেট করে বিক্রি করে। এছাড়া দূর-দূরান্ত থেকে আসা খামারীদের নানান ভাবে ভুল বুঝিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে বহাল তবিয়াতে এ ব্যবসা করছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সরকারি খামার থেকে গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, নড়াইল, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, জামালপুরসহ বিভিন্ন জেলার খামারীরা আসেন বাচ্চা নিতে। যার ফলে খামারীদের বাৎসরিক হাঁসের বাচ্চার চাহিদা প্রায় ১০ লাখ।
কিন্তু খামারটি গত অর্থবছরে বাচ্চা উৎপাদন করেছে মাত্র ২ লাখ। চাহিদা অনুযায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠানটি সবসময় বাচ্চা দিতে পারে না। এই সুযোগটি নেয় স্থানীয় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। তারা সরকারি খামারের হাঁসের জাত (জিনডিং) ৩০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করে।
তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, খামার থেকে গড়ে বিভিন্ন ধরণের হাঁস খামারীদের দেয়। কিন্তু আমরা হাঁস বিক্রি করি বাঁছাই করে, যে কারণে দাম বেশি রাখি। তবে এই জাতের হাঁস কোথায় পায় ? এ বিষয়ে তারা কোন মন্তব্য করেননি।
এ ব্যাপারে খুলনার আঞ্চলিক প্রজনন খামারের সহকারী পরিচালক মোহা: মোশিউর রহমান বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্মুখে হাঁসের বাচ্চা বিক্রি করা হয়। যার ফলে খামারীরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমনকি প্রতিষ্ঠানে না এসে অনেক খামারী সরকারি নির্ধারিত মূল্য থেকে তিন চারগুণ বেশি মূল্য দিয়ে বাচ্চা নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আমাদের কিছুই করার নেই।
খুলনা গেজেট/নাফি