আগামী এক জানুয়ারি দুই হাজার একুশ সাল হতে ‘সড়ক পরবিহন আইন ২০১৮’ এর র্পূণ বাস্তবায়নের দাবী জানিয়ে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখা সংবাদ সম্মেলন করেছে। ১ নভেম্বর রবিবার সকাল ১১টায় নগরীর একটি রেস্টুডেন্টে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে নিসচা’র প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি এসএম ইকবাল হোসেন বিপ্লব।
এ সময় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন নিসচা’র খুলনা মহানগর উপদেষ্টা ও বিএমএ খুলনা শাখার সভাপতি ডা: শেখ বাহারুল আলম, মহানগর সাধারন সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, বিশিস্ট সাংবাদিক টকশো সঞ্চালক মঞ্জুরুল আলম পান্না, নিসচা খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো: হাছিবুর রহমান হাছিব, শেখ মো: নাসিরউদ্দিন, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, আব্দুস সালাম শিমুল,আগুয়ান-৭১ এর সভাপতি মো: আব্দুল্লাহ চৌধুরী, খুলনা জেলা সভাপতি আবিদ শান্ত,নিসচা’র মো: নাজমুল হোসেন,শিরিনা পারভীন,এসএমএ রহিম,মাহমুদা আক্তার লিজা,সাইফুর রহমান সুজন,ফারহানা চৌধুরী কনিকা,রকিবউদ্দিন ফারাজী, মো: ওহিদুজ্জামান ওয়াহিদ,খ ম শাহীন,নূর আলম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সরকার এ আইনটি জাতীয় সংসদে পাস করে ২০১৮ সালে। এর প্রায় ১৫ মাস পর ২০১৯ সালরে ১ নভম্বের থেেক আইনটি র্কাযকর শুরু করে। প্রথম ১৪ দিন সহনীয় মাত্রায় এর প্রয়োগ ছিল। পরর্বতীতে পরবিহন মালকি-শ্রমিকদের দাবীতে আইনের কয়কেটি বিষয় পরবর্তী ছয়মাস পর্যন্ত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কিন্তু করোনার কারণে এই আইন যথাযথ প্রয়োগের সময়সীমা বৃদ্ধি করে এ বছররে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারন করা হয়।
সরকার নতুন সড়ক পরবিহন আইন-২০১৮ প্রয়োগে যখনই উদ্যোগ নেয় তখনই পরবিহন সেক্টরের সেই চক্রটি বাঁধা সৃষ্টি করে। তারা নতুন করে নানা ধরনের দাবী-দাওয়া তুলে ধরে। শুধু তাই নয়, গণপরবিহন চলাচল বন্ধ করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলে দয়ে। এমনকি চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে তাদের প্রতপিক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো হয়। তাকে অবাঞ্ছতি ঘোষণা করা হয়। যা সত্যইি দুঃখজনক।
সরকার সকলের মতামতের ভিত্তিতে ৩৫ বছরের পুরানো আইনকে যুগোপযোগী করার চষ্টো করে। শুধু ভারী পরিবহন চালক নয় সকল চালকদরে জন্যই এই আইন। সড়কেভারী বাহনের সংখ্যা ২,৬১,৮২১ আর চালক রয়েছেন ১,৫৪,৭২০ জন। অথচ র্সবমোট যানবাহনরে সংখ্যা ৪২,১৭,৫২৩। আর সর্বমোট চালকের সংখ্যা ৩৬,০২,৪১৯ জন। শুধু বাস-ট্রাক চালকদের নয়, সকল চালকদের সচতেন হওয়া উচিত। বাস ও ট্রাকচালক, যাত্রী, রিক্সা চালক, পথচারী, ব্যক্তিগত গাড়ীর চালক-মালিক সবাই সড়কে আইন মেনে চলে তাহলে দুর্ঘটনা ঘটবে না। একজনরে জন্য অন্যজন ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।
নতুন সড়ক পরবিহন আইনটি যদি সরকাররে সংশ্লষ্টি কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা বা শৈথিল্য এবং মহল বিশেষের চাপরে মুখে ব্যাহত হয় এবং সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হয় তাহলে আমরা দুর্ঘটনামুক্ত বাংলাদশে, দারিদ্র বিমোচন ও এসডিজি বাস্তবায়নের যে স্বপ্ন দখেছি তা আর পূরণ হবে না। পূর্বে যেখানে ছিলাম অর্থাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল আর অসহায় পরবিাররে কান্না চলতেই থাকবে। তাই আমরা মনে করি, এই আইনের সঠিক প্রয়োগে ও বাস্তবায়নে যদি কোন মহলের চাপের মুখে সরকার মনোভাব পরর্বিতন করে তাহলে হেরে যাবে ১৮কোটি জনতা। সেই সঙ্গে হেরে যাবে বাংলাদেশ। সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি
খুলনা গেজেট/কেএম