স্ত্রীর ওপর ওয়াজিব হলো তার স্বামীর সাথে নিম্নোক্ত অধিকার ও আদবসমূহ রক্ষা করে চলাঃ
১. আল্লাহ তা‘আলার অবাধ্যতা নেই এমন সকল ক্ষেত্রে স্বামীর আনুগত্য করা; আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلَا تَبْغُوا عَلَيْهِنَّ سَبِيلًا
অর্থঃ যদি তারা তোমাদের অনুগত হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ অন্বেষণ করো না। -সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৩৪
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন: যখন কোনো ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তার বিছানায় ডাকে, তারপর সে তার কাছে না আসে এবং স্বামী তার প্রতি অসন্তুষ্ট অবস্থায় রাত কাটায়, তাহলে ফেরেশতাগণ সকাল হওয়া পর্যন্ত তাকে অভিশাপ দিতে থাকে। -সহীহ বুখারী, হাদিস নং- ৩০৬৫
তিনি আরও বলেন: আমি যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেহকে সিদজা করার নির্দেশ দিতাম, তাহলে আমি স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম সে যেন তার স্বামীকে সিজদা করে।
২. স্বামীর মান-সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করা এবং তার ধন-সম্পদ, সন্তানসন্ততি ও ঘরের সকল বস্তুর রক্ষণা-বেক্ষণ করা; কেননা, আল্লাহ তা‘আলা বলেন: কাজেই পূণ্যশীলা স্ত্রীরা অনুগতা এবং লোকচক্ষুর আড়ালে আল্লাহর হেফাযতে তারা হেফাযত করে।
-সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৩৪
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন: স্ত্রী তার স্বামীর ঘর ও সন্তানের ব্যাপারে দায়িত্বশীল। তিনি আরও বলেন: তাদের উপর তোমাদের অধিকার হল: তারা তোমাদের অপছন্দনীয় ব্যক্তিদের দ্বারা তোমাদের ঘর-বিছানা কলুষিত করবে না; আর তারা তোমাদের অপছন্দনীয় ব্যক্তিকে তোমাদের বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি দেবে না। -জামে তিরমিযী, হাদিস নং- ৩০৮৭
৩. তার স্বামীর ঘরে অবস্থান করা; সুতরাং সে তার স্বামী কর্তৃক অনুমতি ও সন্তুষ্ট চিত্তে অনুমোদন দেয়া ছাড়া তার ঘর থেকে বের হবে না; তার দৃষ্টিকে নিম্নগামী করবে এবং কণ্ঠস্বরকে নীচু রাখবে; খারাপ কিছু থেকে তার হাতকে বিরত রাখবে এবং স্বামীর সাথে অশ্লীল ও মন্দ কথা বলা থেকে স্বীয় জবানকে হেফাযত করবে; আর স্বামীর আত্মীয়-স্বজনদের সাথে উত্তম ব্যবহার করবে, যাদের সাথে তার স্বামী উত্তম আচরণ করে; কেননা, আল্লাহ তা‘আলা বলেন: আর তোমরা নিজ ঘরে অবস্থান করবে এবং প্রাচীন জাহেলী যুগের প্রদর্শনীর মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না। -সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৩৩
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন: সুতরাং পর-পুরুষের সাথে কোমল কন্ঠে এমনভাবে কথা বলো না, কারণ এতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে, সে প্রলুব্ধ হয়। -সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৩২
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন: সর্বোত্তম নারী (স্ত্রী) সেই, যার দিকে যখন তুমি তাকাও, তখন সে আনন্দ দেয়; যখন তুমি নির্দেশ প্রদান কর, তখন সে তোমার আনুগত্য করে; আর যখন তুমি তার থেকে অনুপস্থিত থাক, তখন সে তার নিজের ব্যাপারে তোমাকে এবং তোমার সম্পদের হেফাযত করে।
আল্লাহ তায়ালা উল্লেখিত বিষয়গুলো কর্মে পরিণত করার তাওফিক দান করুন।
স্ত্রীর প্রতি স্বামীর আবশ্যকীয় শিষ্টাচার
স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যকার আদব
খুলনা গেজেট/ টি আই