সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসে ১২৮টি পদে কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস, প্রতিটি পদের বিপরীতে মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনের খবর জেলাব্যাপি চাউর হওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগের এই নিয়োগ নিয়ে বির্তকের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমলোচনা। অবৈধ এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন জেলার সচেতন নাগরিক সমাজ।
এদিকে পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, প্রতিটি পদেও বিপরীতে ব্যাপক অর্থ বাণিজ্যসহ আরও নানা অভিযোগে গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়া সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের ১২৮ পদে কর্মচারী নিয়োগ বন্ধে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবর চিঠি দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন যে, “আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি, সাবেক এমসিএ ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক। আমি এই মর্মে অভিযোগ করছি যে, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের কর্মচারী নিয়োগ এ ব্যাপক অর্থ বাণিজ্য ও প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। ইতিমধ্যে তার প্রমাণ আমার নিকট পৌঁছেছে। পরিক্ষার দিন সাতক্ষীরা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ৩০৫ নং কক্ষে প্রশ্ন শট পড়ে। যার ফলে পরিক্ষার্থীদের মধ্যে শোরগোল শুরু হয়ে যায়। এছাড়া ও পরিক্ষার আগের দিন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জর্জ কোর্টের সামনে নানা শ্রেণীর মানুষ এই নিয়োগ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করে ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। তার আগে বিভিন্ন পত্রিকায় এই নিয়োগ বন্ধের দাবিতে লেখা লেখি হয়। সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে ও সিভিল সার্জন অফিসের বড় বাবু আশিক নেওয়াজের বিরুদ্ধে নিজের আত্মীয়করণের মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্য অভিযোগ পাওয়া যায়”
অতএব, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন এই যে, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের নিয়োগ বন্ধ ও নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্তের জন্য আপনার প্রতি একান্ত মর্জি হয়।
খুলনা গেজেট/ এএজে