সাতক্ষীরায় চার দিনের ব্যবধানে দু’বার ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার ভিকটিম মাইমুনা ইয়াসমিনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩১ মে) রাত ১০ টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া লস্কারপাড়া এলাকার চাচা মুনসুর আলীর বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মাইমুনা ইয়াসমিন (১৬) সাতক্ষীরা শহরের দক্ষিণ কাটিয়া ঈদগাহ এলাকার আজিজুর রহমানের মেয়ে ও নবারুন বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, গত ৩ মে সাতক্ষীরা শহরতলীর ইটাগাছার বনলতা হাউজিং কমপ্লেক্স এলাকায় এক সময়কার সহপাঠীর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার পর পূর্ব পরিচিত জেলার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের খলিষাবুনিয়া গ্রামের হৃদয় হোসেন চেতনানাশক ¯েপ্র করে তাকে ধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। একইভাবে গত ৭ মে সন্ধ্যার পর বাড়ির পিছনে এক নারীর সহযোগিতায় গোয়ালঘরে হৃদয় তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। চার দিনের ব্যবধানে দুইবার ধর্ষণের অভিযোগে তার বাবা আজিজুর রহমান বাদী হয়ে গত ৯ মে সাতক্ষীরা সদর থানায় হৃদয় হোসেন ও দুই নারীর নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা রেকর্ডের পর ঘটনাস্থলে যেয়ে ও ওই দুই নারীসহ চারজনকে থানায় ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ভিকটিমের বক্তব্যের সাথে মামলায় বর্ণিত অভিযোগে অসামঞ্জ্যতা থাকায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরদিন ১০ মে মেয়েটি সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম ইয়াসমিন নাহারের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন। একই দিনে সদর হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। মামলার পর থেকে মেয়েটি বিমর্ষ ছিল।
মিজানুর রহমান আরো জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মাইমুনা ইয়াসমিনের মরদেহ তার বাড়ি সংলগ্ন ঢাকায় অবস্থানকারী চাচা মুনসুরের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ গোলাম কবীর জানান, মাইমুনা ইয়াসমিনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়না তদন্ত শেষে বিকালে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় মৃতের বাবা আজিজুর রহমান বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতেই থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন। তিনি আরো জানান, মৃতের ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।